Lifestyle:গ্যাসলাইটিং হচ্ছে না তো? লক্ষণগুলি চিনবেন কী ভাবে?
Gaslighting Among Partners:'গ্যাসলাইটিং'। শব্দটা অনেকের কাছে চেনা হলেও বহু মানুষই বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ফলে অজান্তে ঘনিষ্ঠ কারও দ্বারা 'গ্যাসলাইটিং'-এর শিকার হলেও বোঝার উপায় থাকে না

কলকাতা: 'গ্যাসলাইটিং'। শব্দটা অনেকের কাছে চেনা হলেও বহু মানুষই বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ফলে অজান্তে ঘনিষ্ঠ কারও দ্বারা 'গ্যাসলাইটিং'-এর শিকার হলেও বোঝার উপায় থাকে না। গ্যাসলাইটিং-র লক্ষণ চিনতে হলে আগে বুঝে নেওয়া দরকার, জিনিসটি কী। সোজা করে বললে, ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কাছের মানুষটিই নানা ভাবে মানসিক দিক থেকে অন্যকে যে ম্যানিপুলেশন করেন, তার নাম গ্যাসলাইটিং। কিন্তু স্রেফ সংজ্ঞা জেনে বাস্তব দুনিয়ায় গ্যাসলাইটিং-র সমস্যা বোঝা কঠিন।
লক্ষণ...
কী ভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গীও আপনাকে এমন কিছু করছে কিনা? কয়েকটি লক্ষণের দিকে নজর রাখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
প্রথমত, সময়ে-অসময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রায়ই বলতে থাকবেন, আপনি যে ভাবে ভাবনাচিন্তা করেন, যা কিছু অনুভব করেন তার কোনওটাই ঠিক নয়।
দ্বিতীয়ত, আপনার আবেগ বা চাহিদার কথা সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেবেন।
তৃতীয়ত, এমন কথা যা হয়তো আপনি বলেননি বা করেননি, তাও বলেছেন বা করেছেন বলে আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করার চেষ্টা করবেন।
কখনও যদি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেন, তা হলে আপনাকেই 'আবেগপ্রবণ পাগল' বলে প্রমাণ করতে চাইবেন তাঁরা।
কোনও ঘটনার তাঁদের মুড বা আচরণের জন্য আপনার দিকে আঙুল তোলাই দস্তুর এই ধরনের লোকজনের।
সব সময়, সব পরিস্থিতিতে তাঁরাই ঠিক। সঙ্গীর দেওয়া তথ্য বা তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বির্বেচনা করতে চাপ দেন এঁরা।
তর্ক চলাকালীন সব সময়ই সঙ্গী কখন কী করেছিলেন, সেই দিকে কথা ঘোরানোর চেষ্টা থাকে এঁদের। মূল আলোচনা থেকে নজর ঘোরাতেই এই চেষ্টা।
কোনও গাফিলতি বা আলটপকা মন্তব্যের প্রমাণ দেখালেও সেটা মানতে না চাওয়ার প্রবণতা থাকে এই ধরনের মানুষের মধ্যে।
আপনার স্মৃতিশক্তিকেও বার বার ভুল প্রমাণিত করার চেষ্টা করতে পারেন এই ধরনের মানুষজন।
কোন পরিস্থিতিতে কী ধরনের অনুভূতি হওয়া উচিত, সেটাও আপনাকে বলে দিতে চান ওঁরা।
মোটের উপর সঙ্গীর ভাবনাচিন্তা থেকে আবেগ, সবের উপরই যেনতেনপ্রকারেণ নিয়ন্ত্রণ রাখাই একমাত্র লক্ষ্য 'গ্যাসলাইটিং'-র নেপথ্য কারিগরদের। তাই এই লক্ষণগুলি নিয়মিত টের পেতে থাকলে সজাগ হোন। সর্বাগ্রে কোনও বন্ধু বা অন্য কাউকে নিজের সংশয় বা মনোকষ্টের কথা খুলে বলুন। আপনার সঙ্গে যা যা ঘটেছে, এমনকি আপনার সঙ্গীর কথা ও আচরণও পুঙ্খনাপুঙ্খ জানান তাঁকে। প্রয়োজনে কোনও মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত পেশাদার সাহায্য় না পাচ্ছেন, এটা ভুললে চলবে না যে নিজের চিন্তাভাবনা ও আবেগের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যথেষ্ট স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে আপনার। কাজেই যে যা-ই বোঝানোর চেষ্টা করুন, নিজের অবস্থান থেকে নড়লে চলবে না।
আরও পড়ুন:হাড়ের গঠন হবে শক্ত-মজবুত, দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি


















