International Day of Peace 2021: আজ বিশ্ব শান্তি দিবসে জানুন এখনও কত দেশে করোনার একটাও টিকা দেওয়া হয়নি
এবারের বিশ্ব শান্তি দিবসের থিম হল, মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে আরও মজবুত এবং স্থায়ী করা। কারণ, আমাদের পৃথিবী এখন পারস্পরিক হিংসার থেকেও করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছে।
কলকাতা: আজ ২১ সেপ্টেম্বর। বিশ্ব শান্তি দিবস (International Day of Peace 2021)। হয়তো মনে-মনে ভাবছেন, এই একটা জিনিসেরই পৃথিবীতে সত্যিই দেখা নেই। এই তো মাত্র মাস খানেক আগে দেখা গেল যে, একটু বাঁচার জন্য প্লেনের চাকাতেও উঠে বসলো মানুষ! আর প্লেন আকাশে ওড়া মাত্রই তা থেকে টপাটপ পড়ে মৃত্যু হল কয়েকজনের! একটু হিংসা থেকে বাঁচতে একটু শান্তির আশাতেই প্লেনের চাকায় উঠে বসা। ভাবতে অবাক লাগে, এ কোন পৃথিবীতে আমরা বাস করি। উদাহরণ দেওয়া শুরু করলে শেষ হবে না। তার থেকেও বড় কথা তাতে মন খারাপ হবে খুব। চারপাশের এত অশান্তির খবর কত আর জানতে ভাল লাগে! সেই জন্যই প্রতিবছর অন্তত বছরের একটা দিন বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করা হয়।
এই প্রসঙ্গে বলা রাখা ভাল প্রথমবার বিশ্ব শান্তি দিবস পালন করা হয়েছিল ১৯৮১ সালে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে। বোঝাই যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ যতই গোটা পৃথিবীর মানুষকে শান্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করুক, কাজ বিশেষ হয়নি। কারণ, গত ৪০ বছরে প্রতিবারই একবার করে বিশ্ব শান্তি দিবস চলে গিয়েছে। কিন্তু, পৃথিবী থেকে হিংসা আর অশান্তি সরানো যায়নি এক ফোঁটাও। বরং, যত দিন যাচ্ছে, তত যেন মানুষ সুখ-শান্তি ভুলে আরও বেশি হিংস্র হয়ে উঠছে। কিন্তু, তা বলে তো আর রাষ্ট্রসংঘ চুপ করে বসে থাকতে পারে না। বা বিশ্ব শান্তি দিবস বন্ধও করে দিতে পারে না। তাই মানুষেরও এবার বোঝার সময় এসেছে যে, গত ৪০টা বছর ধরে রাষ্ট্রসংঘ যেভাবে হিংসার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে, তাকে একটু আমল দেওয়া।
এবারের বিশ্ব শান্তি দিবসের থিম হল, মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে আরও মজবুত এবং স্থায়ী করা। কারণ, আমাদের পৃথিবী এখন পারস্পরিক হিংসার থেকেও করোনা ভাইরাসের (Covid19) আক্রমণ থেকে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছে। গত দুটো বছরে সারা বিশ্বে লক্ষ-লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ হিসেব দিয়ে বলছে, এখন মানুষকে বাঁচাতে পারে একমাত্র করোনার টিকা। কিন্তু, সেই করোনার টিকাও পাচ্ছে না কোটি কোটি মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, ইতিমধ্যে নাকি ৬৮৭ মিলিয়ন টিকা গোটা পৃথিবীজুড়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ, তারপরেও এখনও অন্তত ১০০ দেশে একটি টিকার ডোজও দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের পৃথিবীতে সত্যিই শান্তিকে ফিরিয়ে আনতে এবং তাঁকে স্থায়ী করতে আমাদের সবাইকে আরও একটু সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে নিজেদের দায়িত্ব। আর অবশ্যই রাখতে হবে সংযম। দাঁড়াতে হবে মানুষের পাশে। তাহলেই আমাদের পৃথিবীতে বিশ্ব শান্তি দিবসের দিনটার যথার্থ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।