Bird Flu: বার্ড ফ্লু-র আবহে মাংস, ডিম খাওয়া নিরাপদ ?
Chicken And Egg Eating During Bird Flu: বার্ড ফ্লু হলেই সকলের মনে ভয় ধরে যায়। প্রশ্ন জাগে এই সময় কী মুরগির মাংস বা ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল ? এই বিষয়ে চিকিৎসক কী বলছেন ?
Chicken And Egg Eating During Bird Flu: ফের দেশে বার্ড ফ্লু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশে আগে থেকেই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছিলেন অনেকে। এবার ভারতেও দুজন আক্রান্ত হলেন। তার মধ্যে একজন আবার পশ্চিমবঙ্গের। বয়স বেশ কম। মাত্র ৪ বছরের একরত্তি শিশু সর্দিকাশিজ্বরে ভুগছিল। পরিস্থিতি গুরুতর হতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা করে জানা যায় শিশুটি বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
কিন্তু এসবের ডামাডোলে মুরগির মাংস ও ডিম নিয়ে অনেকেই ধন্দে পড়ে যান। মুরগির মাংস ও ডিম খাবেন কি খাবেন না, তা বুঝতে পারেন না। এই অবস্থায় কী করা উচিত, তা নিয়ে এবিপি লাইভ বাংলায় পরামর্শ দিলেন নারায়ণা হাসপাতালের পুষ্টিবিদ চিকিৎসক পদ্মজা নন্দী।
মুরগির মাংস কি নিরাপদ ?
বার্ড ফ্লু-র কিছু কিছু ভাইরাস বেশ ভয়ের। তাই এই নিয়ে বিচলিত হওয়ার খারণ আছে বলেই জানালেন পদ্মজা। তাঁর কথায়, মুরগির দেহ থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তা বলে খাওয়া যাবে না, এমনটাও নয়। বার্ড ফ্লু-র আবহে মুরগির মাংস খেতে হলে কিছু নিয়ম মানা বাঞ্ছনীয়।
- মুরগির মাংস এক্ষেত্রে ১৬৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার উপরে রান্না করতে হবে। অর্থাৎ ৭৩ ডিগ্রির বেশিতে ফোটাতে হবে মাংস। জল ফোটে ১০০ ডিগ্রি। ফলে ফুটন্ত অবস্থায় ভাইরাস মরে যাবে।
- রান্না করা মাংস ও কাঁচা মাংস হ্যান্ডলিংয়ের সময় সতর্ক থাকতে হবে। কাঁচা মাংস ধোওয়ার পর হাত ঠিকভাবে ধোওয়া দরকার। যে যে জিনিস ছোঁয়া হচ্ছে, সেগুলিকেও ভাল করে ধুতে হবে। কোনওভাবে হাত যেন মুখে বা নাকে না যায় ।
- রান্না করা মাংস ও কাঁচা মাংস আলাদা রাখতে হবে, কোনওভাবে সংস্পর্শে যেন না থাকে।
- রান্নার সময় কোনও অংশ যেন কাঁচা না থাকে।
মুরগি বা হাঁসের ডিম খাওয়ার সময়
- ডিম বাজার থেকে এনেই ধুয়ে রাখা ভাল। এর জন্য ভিনিগার বা লেবুর জল ব্যবহার করুন।
- এই জলে কিছুক্ষণ চুবিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে হবে।
- কোন তাপমাত্রায় ডিম সংরক্ষণ করা হচ্ছে, তা দেখা জরুরি। কারণ ফ্রিজের তাপমাত্রায় ভাইরাস সক্রিয় থাকে।
- রান্নার সময় পুরো সিদ্ধ ডিমই খেতে হবে এই সময়। কোনও হাফ সিদ্ধ ডিম বা পোচ খাওয়া যাবে না।
- এছাড়া ডিমের বিভিন্ন পদ রাঁধার সময় মাংসের মতোই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বয়স্ক লোকদের জন্য সতর্কতা
বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের ক্রনিক রোগ রয়েছে, তাদের মাংস ও ডিম এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক পদ্মজা নন্দী। তাঁর কথায়, সুগার, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, অ্যাজমার মতো ক্রনিক রোগ থাকলে এই সময়টা অন্য কিছু খাওয়া ভাল।
একান্তই মাংস, ডিম না খেলে কী খাবেন ?
অনেকেই এই পরিস্থিতিত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এত কিছু নিয়ম মানার ব্যাপারে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেন। ফলে পরিস্থিতি খারাপ হয়। সেক্ষেত্রে তারা এত ঝামেলায় না গিয়ে খাবার দুটি বাদ দিতেই পছন্দ করেন। কিন্তু মাংস ও ডিম দুটোই শরীরে প্রোটিন সরবরাহ করে প্রচুর পরিমাণে। তাই এই দুটি না খেলে কী খাবেন, এমনটা মনে হতেই পারে। এর উপায়ও বাতলে দিচ্ছেন চিকিৎসক।
প্রাণীজ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক পরামর্শ দিচ্ছেন মাছ খেতে। মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। পাশাপাশি এই প্রোটিন সহজে হজম হয়।
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের তালিকায় থাকবে, বিভিন্ন ধরনের ডাল, সোয়াবিন, ভেজানো ছোলা, ছানা, দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য। ছানাও রাখা যেতে পারে পাতে।
আরও পড়ুন - Bird Flu: বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত ৪ বছরের শিশু, বড়রাও বিপদে ? কী কী লক্ষণ
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )