Jeep Compass Facelift review: দেখে নেওয়া যাক এর ফিচার, দাম
বেশ কয়েক বছর আগে প্রথমবার লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন থেকেই নির্মাণের গুণমান, ডিজাইন ও 4x4 ক্ষমকার মাধ্যমে কম্পাস বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এতে ছিল জিপের ডিজাইন ও ব্র্যান্ড ভ্যালুও। সেইসঙ্গে তা অন্যান্য এসইউভি-ভ্যালুজের থেকে আলাদা ছিল।
নয়াদিল্লি: বেশ কয়েক বছর আগে প্রথমবার লঞ্চ করা হয়েছিল, তখন থেকেই নির্মাণের গুণমান, ডিজাইন ও 4x4 ক্ষমকার মাধ্যমে কম্পাস বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এতে ছিল জিপের ডিজাইন ও ব্র্যান্ড ভ্যালুও। সেইসঙ্গে তা অন্যান্য এসইউভি-ভ্যালুজের থেকে আলাদা ছিল। আর এই বিষয়টিই নতুন কম্পাসকে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে ভিন্ন করে তুলতে চলেছে। সময় এগিয়েছে এবং জিপ এরসঙ্গে নয়া কম্পাসকে এমনভাবে বদলেছে, যাকে প্রায় নতুন গাড়িই বলা চলে। বাইরের ডিজাইন কমবেশি একই থাকলেও ইন্টিরিওরের ডিজাইন একে লাক্সারির অর্থে এক হাই সেগমেন্টে নিয়ে গিয়েছে।
সবার প্রথমে দেখে নেওয়া যাক, বাইরে কী পরিবর্তন ঘটেছে। সাত স্লেট গ্রিল বিশেষ ইনসার্টস সহ এমনভাবে বদলানো হয়েছে, যা খুবই অভিনব ও দর্শনীয়। সেখানে ক্যামেরাও দেখতে পাওয়া যায়। নিয়ম অনুযায়ী, এতে নয়া এলইডি লাইট রয়েছে।সেইসঙ্গে বড় মিশ্র ধাতুর হুইলেও বদল এসেছে। যা বদলায়নি , তা হল এর টাফনেস ও কোয়ালিটি। আর তা দেখলে মনে হবে খুবই দামী।
এমনই অনুভূতি হবে অন্দরসজ্জাতেও। টেস্ট কার ছিল সম্পূর্ণ এস মডেল। চমকদার ক্রোম, লেদার,গ্লস ব্ল্যাক ডিটেলিং মুগ্ধ করবেই। কেবিন BMW X1/ Volvo XC40 40 XC40 ক্লাসের মনে হয়। এখানে সবকিছুই নতুন। বড় আকারের ১০.১ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, ডিজিটাল ডায়াল স্টার্টারদের পক্ষে দারুণ। সেখানে রয়েছে অনেক স্ক্রিন এবং ডিজিটাল ডায়ালে খেলার বিকল্প, মাঝে মেন স্ক্রিনে রয়েছে স্লিকার ডিসপ্লেও। সেইসঙ্গে রয়েছে সমস্ত জরুরি ফিচারের একটি তালিকা। সবমিলিয়ে এতে মিলবে প্যানারোমিক সানরুফ, ডুয়াল পাওয়ার্ড সিট কুলড/ ভেন্টিলেটেড, ওয়্যারলেস স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি, ওয়ারলেস চার্জিং, কানেক্টেড টেক, একটি ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, পাওয়ার লিফ্টগেট, ক্লাইমেট কন্ট্রোল ও আরও অনেক কিছু। এই দামে এত বেশি ফিচার সহ একটি এসইউভি খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। বাইরে যাওয়া বা ভেতরে আসার ক্ষেত্রে রিয়ার ডোর কিছুটা ছোট, কিন্তু ভেতরের জায়গা অনেকটাই।
কম্পাস রেঞ্জকে ডিজেল ও পেট্রোল দুটি বিকল্পেই পাওয়া যায়। কিন্তু মনে হয়, 2.0 ডিজেল সহই তা সবচেয়ে ভালো, কারণ হিসেবে বলা যায় যে, এতে ক্রেতা 4x4 ও সিলেকটেরেন সিস্টিমে পেতে পারেন। 2.0 ডিজেল তৈরি করে ১৭০ বিএইচপি ও 350Nm, যখন ৯-স্পিড অটো ভার্সন থাকে। ম্যানুয়ালের সঙ্গে তুলনায় অটোমেটিক ভার্সন সবচেয়ে ভালো এবং তা দৈনন্দিন যাত্রা বা দূরপাল্লার ক্রুজার হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই ভালো।ডিজেল ইঞ্জিনের আওয়াজ কিছুটা বেশি। কিন্তু এক স্মুথ ও রেসপোনসিভ গিয়ারবক্স পছন্দ হবে। এর টাফ সাসপেনশন দুরন্ত যা, অন্যান্য এসইউভি-র তুলনায় আমাদের রাস্তাঘাটের পক্ষে অনুকূল। এর রাইড খুবই সুন্দর।
কম্পাসের দাম কখনওই কম ছিল না।এর টপ-এন্ড মডেলের দাম ২৮ লক্ষ টাকার বেশি। এটা অনেকটা দামী। কিন্তু এরচেয়ে সস্তা মডেলও পাওয়া যায়। কিন্তু একে ফিচার কিছু কমই মিলবে। অ্যাফোর্ড করতে পারলে এর টপ-এন্ড ফর্মের কম্পাস একটি লাক্সারি এসইউভি। এতে কোয়ালিটি, টাফনেস, 4x4 সিস্টেম রয়েছে, যা অন্যান্য ফিচারদের সঙ্গে মিলিয়ে দুর্দান্ত মিশেল তৈরি করে।
পছন্দের বিষয়-কোয়ালিটি, ডিজাইন, ফিচার্স, সাসপেনশন, পারফরম্যান্স
যা পছ্ন্দ হল না- টপ এন্ড ট্রিমের জন্য ব্যয়বহুল