Glaucoma myths: গ্লুকোমা নিয়ে এই ভুল ধারণা আপনার নেই তো? সতর্ক করলেন চিকিৎসক
Glaucoma awareness month: গ্লুকোমা নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। এই বিষয়েই এবার সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
কলকাতা: বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিকে সারা বিশ্বে গ্লুকোমা সচেতনতা মাস (Glaucoma awareness month) হিসেবে পালন করা হয়। রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা প্রসার করতেই এই বিশেষ মাস উদযাপন করা হয়। কিন্তু গ্লুকোমা রোগটি আদতে কী? কীই বা এর লক্ষণ?
গ্লুকোমা রোগটি কী?
গ্লুকোমা চোখের বেশ কয়েকটি অবস্থাকে একসঙ্গে বোঝানো হয়। এই অবস্থাগুলিতে চোখের অপটিক স্নায়ু নষ্ট হয়ে যায় (optic nerve damage)। অপটিক স্নায়ু চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ রাখে। আমরা যা দেখতে পাই, তার রেসপন্স মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয় অপটিক নার্ভ । হাই প্রেশারের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের এই স্নায়ুগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। কিন্তু প্রেশার স্বাভাবিক থাকলেও গ্লুকোমা হতে পারে।
কোন বয়সে এই রোগ হয়?
যেকোনাও বয়সেই গ্লুকোমা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বেশিরভাগ সময়ে বয়স্ক ব্যক্তিরাই এর শিকার হন। মূলত ৬০ বছরের বেশি বয়সে এই রোগ দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই গ্লুকোমা অন্ধত্বের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ছোটদের মধ্যেও এই রোগ দেখা দিতে পারে।
গ্লুকোমার ধরন (Glaucoma types): গ্লুকোমার বেশ কয়েক ধরনের হতে পারে। এর মধ্যে প্রধানগুলি হল ওপেন অ্যাঙ্গল গ্লুকোমা, অ্যাকিউট অ্যাঙ্গল ক্লোজার গ্লুকোমা, নর্মাল টেনশন গ্লুকোমা, পিগমেন্টারি গ্লুকোমা।
গ্লুকোমা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ কিছু ভুল ধারণাও প্রচলিত রয়েছে (Glaucoma myths)। এই নিয়ে এবিপি লাইভের সঙ্গে বিশদে কথা বললেন দিশা আই হসপিটালের চিকিৎসক অভিজিৎ পাল।
রোগটির উপসর্গ রয়েছে: প্রাথমিক ভুল ধারণার মধ্যে অন্যতম হল এটি। অনেকেই মনে করেন অন্যান্য রোগের মতো এই রোগটির বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা অন্য। গ্লুকোমায় প্রাথমিক অবস্থায় কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। ফলে অনেকেই রোগটি টের পান না। যখন টের পান, তখন চোখের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। তাই নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা রোগটি দ্রুত শনাক্ত করার একমাত্র উপায়।
পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে আগে কারও গ্লুকোমা থাকলে অন্যদেরও এটি হতে পারে। কিন্তু অনেকেই সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেন। ফলে অজান্তেই রোগটি বাড়তে থাকে। বরং পরিবারে কারও এই সমস্যা থাকলে অন্যদের সতর্ক হতে হবে।
চিকিৎসা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া: গ্লুকোমার চিকিৎসা অনেকেই মাঝপথে বন্ধ করে দেন। ওষুধের জটিলতা, অনিচ্ছা বা আর্থিক সমস্যার কারণে অনেকে এমনটা করেন। তবে এতে বিপদ আসলে বাড়ে। কারণ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে চোখের ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: Cervical Cancer: কীভাবে ধরা পড়ে সার্ভিক্যাল ক্যানসার, নিরাময় সম্ভব ?
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )