Lathmar Holi 2022: নন্দগাঁও-বারসানায় রঙের উৎসবের ভিন্ন রূপ, আজ থেকে শুরু ‘লাঠমার হোলি’, রইল বিস্তারিত তথ্য
Lathmar Holi 2022: উত্তরপ্রদেশের বারসানা ও নন্দগাঁওয়ে এই উৎসব শুরু হয় হোলি ঠিক এক সপ্তাহ আগে থেকে। এ বছর এই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে আজ অর্থাৎ, ১১ মার্চ থেকে।
নয়াদিল্লি: আর কয়েকদিন পরেই রঙের উৎসবে মেতে উঠবে সারা দেশ। দরজায় কড়া নাড়ছে হোলি। গত দুই বছর রঙের এই উৎসবের আনন্দে জল ঢেলেছে করোনাভাইরাস অতিমারী। এবার করোনার উপদ্রব নিম্নমুখী। তাই হোলির রঙে রঙিন হয়ে উঠতে প্রস্তুত সবাই। ক্য়ালেন্ডার অনুযায়ী, এবারের হোলি ১৮ মার্চ। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি বছর হোলি উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। আবির ও রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে তোলেন লোকজন। তবে উত্তরপ্রদেশের বারসানা ও নন্দগাঁওয়ে এই উৎসব উদযাপনের রীতি কিছুটা আলাদা। আসলে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্নভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে রঙের এই উৎসব। আর বারসানা ও নন্দগাঁওয়ের এই উৎসব লাঠমার হোলি নামে পরিচিত। আক্ষরিক অর্থে বলতে গেলে লাঠি ও রঙের উৎসব। সবমিলিয়ে নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই লাঠমার হোলি পালিত হয়ে থাকে।
লাঠমার হোলি ২০২২: তারিখ
উত্তরপ্রদেশের বারসানা ও নন্দগাঁওয়ে এই উৎসব শুরু হয় হোলি ঠিক এক সপ্তাহ আগে থেকে। এ বছর এই উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে আজ অর্থাৎ, ১১ মার্চ থেকে।
ব্রজভূমি মতুরার কাছে বারসানা শহর ও নন্দগাঁওয়ে এই লাঠমার হোলি পালিত হয়। প্রচলিত হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই লাঠমার হোলির ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল দৈব যুগল রাধা-কৃষ্ণের সময় থেকে। নন্দগাঁও ছিল কৃষ্ণের গ্রাম। আর বারসানা রাধার। নন্দগাঁও থেকে যখন হোলির এক সপ্তাহ আগে লোকজন রাধার গ্রামে যেতেন, তখন সেখানকার মহিলারা তাঁদের লাঠি দিয়ে মারতেন। আর এই লাঠির বাড়ি থেকে রেহাই পেতে নন্দগাঁয়ের পুরুষরা ডাল বয়ে নিয়ে যেতেন। বারসানায় রাধারাণী মন্দিরের সুবিস্তৃত চত্বরে এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। এটিই দেশে রাধার উদ্দেশে নিবেদিত একমাত্র মন্দির।
হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এ এক সুবিখ্য়াত হিন্দু কিংবদন্তীর পুণর্নিমাণ। আর সেই কিংবদন্তী অনুসারে, কৃষ্ণ যখন বারসানায় রাধার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তিনি রাধা ও তাঁর বান্ধবীদের সঙ্গে খুনসুটি করতেন। আর এতেই রেগে গিয়ে রাধার বন্ধুরা শ্রীকৃষ্ণকে ফুল ছুঁড়ে বারসানা থেকে তাড়িয়ে দিতেন।