Mental Health: শরীর খারাপের মতো মনের অসুখও সমান গুরুত্বপূর্ণ, মন ভাল রাখতে প্রতিদিন কী কী করলে উপকার পাবেন?
Mental Health Boosters: মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। এর পাশাপাশি নজর দিতে হবে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের দিকেও। তবেই ভাল থাকবে মনমেজাজ।
Mental Health: আমাদের শরীর যেমন খারাপ হয়, তেমনই খারাপ হতে পারে মনও। এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। শরীর ভাল রাখার জন্য আমরা যেমন স্বাস্থ্যের যত্ন নিই, তেমনই মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ভাল থাকে সেদিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে একাধিক সমস্যা দেখা দেবে আপনার শরীরে। তাই সময় থাকতেই সতর্ক হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মন খারাপের বিষয়টা একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। কারণ স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন অর্থাৎ মানসিক চাপ এবং মানসিক অবসাদ- এই দুই বিষয়ই আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সার্বিক ভাবে খারাপ।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বাড়িতেই প্রতিদিন যা যা অভ্যাস করতে পারেন আপনি, রইল তারই তালিকা
- দিনের শুরুতে নিজের জন্য কিছুটা সময় দিন। অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট। দিনের শুরুটা করুন মেডিটেশন বা ধ্যান দিয়ে। সেই সময় হাল্কা গান বা মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারেন। যেখানে বসে মেডিটেশন করবেন, সেখানে আলো কম এলে ভাল।
- শুধু মেডিটেশন করলে হবে না। করতে হবে যোগাসন বা ফ্রি-হ্যান্ড একসারসাইজ। যাঁরা জিমে যান নিয়মিত সেই অভ্যাস বজায় রাখুন। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস সারাদিন আপনাকে চাঙ্গা রাখবে। মানসিক ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেবে।
- প্রায় রোজই মন খারাপ থাকে। কিছুই ভাল লাগে না। মেজাজ খিটখিটে হয়ে আছে। সবকিছুতেই অনীহা অনুভব করছেন। টানা কয়েকদিন এইসব লক্ষণ দেখা দিলে পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। সারাদিন পরিশ্রমের পর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সঠিক ভাবে বিশ্রাম না হলে আপনার জীবনে মানসিক চাপ, মানসিক অবসাদ দুই-ই বাড়বে।
- মন ভাল রাখতে নিজের কাছের মানুষ, প্রিয়জনদের সংস্পর্শে থাকা জরুরি। তবে ঘনিষ্ঠ গণ্ডীতে কাদের রাখবেন, সেই বাছাইয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। বন্ধু বেছে নিতে ভুল হলে জীবনে চরম বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।
- মানসিক স্বাস্থ্য যাতে ভাল লাগে সেই জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে শরীরচর্চা যেমন প্রয়োজন, তেমনই স্বাস্থ্যকর খাবারও খেতে হবে। আর দিনের শুরুতে পরিকল্পনা করে নিন যে সারাদিন কোন কোন কাজ কখন করবেন। তাহলে আর অসুবিধা হবে না। কাজ ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
আরও পড়ুন- ব্রেকফাস্টে কেন খাবেন অ্যাভোকাডো? স্বাস্থ্যের জন্য এই ফল খাওয়া কেন ভাল?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )