No Smoking Day 2022: পরিবারের কথা ভেবেই ছাড়তে হবে ধূমপান
No Smoking Day 2022: ধূমপানের কারণে ক্ষতি হয় স্বাস্থ্যের। ধূমপান বন্ধ করতে গোটা বছর ধরেই নানাস্তরে সচেতনতা চলে। তবুও বছরের একটি দিন বিশেষ করে বেছে নেওয়া হয় ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য়।
কলকাতা: ধূমপানের কারণে ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে। তামাকজাত দ্রব্য ব্য়বহারে হয় ক্যানসারের মতো মারণ রোগও। আরও একাধিক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। ধূমপান বন্ধ করতে গোটা বছর ধরেই নানাস্তরে সচেতনতা চালানো হয়। তবে বছরের একটি দিন বিশেষ করে বেছে নেওয়া হয় ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য়। প্রতিবছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বুধবার পালন করা হয় নো স্মোকিং ডে (no smoking day)। মূলত তামাকবিরোধী দিবস (no tobacco day) থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই পালিত হয় এই দিনটি।
ইতিহাসের গল্প
মূলত ব্রিটেনেই (united kingdom) পালিত হয় এই দিনটি। সেই দেশে ধূমপানের অভ্যেস বাড়ছে দেখে ১৯৮৪ সাল থেকে পালন করা শুরু হয় এই দিনটি। প্রথমে মার্চের প্রথম বুধবার করে পালিত হলেও পরে দ্বিতীয় বুধবারে দিন ঠিক করা হয়। নানা বছর নানা থিম ও স্লোগানকে সামনে রেখে সচেতনতার প্রচার হয়।
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সতর্ক করতেই এই দিনটি শুরু হয়েছিল। ধূমপানের অভ্যাস কীভাবে ছাড়া যায় তা নিয়েও সাহায্য করা হয়। ধূমপানের মতো নেশার অভ্যাস ছাড়া সাধারণত কঠিন। সহজেই এই অভ্যাস ছাড়া যায় না। সমীক্ষা বলছে, ব্রিটেনে এই দিনটি পালন করার কারণে ওই নেশা ছাড়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের অভ্যাস নেই, এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে জরুরি। ধূমপায়ীদের সঙ্গে থাকলে এই অভ্যাস ছাড়া একেবারেই সহজ নয়। তাছাড়়া এমন জায়গায় যদি ঘনঘন যাওয়া যায়, যেখানে ধূমপান নিষিদ্ধ, তাহলে এই অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া সহজ। এছাড়া ধূমপান সংক্রান্ত ছবি, ভিডিও সহ যাবতীয় বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। মনের জোরও জরুরি।
ক্ষতির বহর
মুখ ও গলার ক্যানসার সবচেয়ে বড় বিপদ। তার সঙ্গেই হাইপারটেনশন থেকে কোলেস্টরেল বৃদ্ধির মতো একাধিক বিপদ ডেকে আনে ধূমপান। রক্তবাহী ধমনীর দেওয়ালে বাধা তৈরি হয়। যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।
কীভাবে মিলবে মুক্তি
১. দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ধূমপানের অভ্যাস থাকে। খাওয়ার পর বা কাজের একফাঁকে অনেকেই ধূমপান করেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে সময়ের ওই শৃঙ্খলা ভাঙা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময় ধূমপান বন্ধ করলেই হবে কাজ।
২. ধূমপানের ইচ্ছা হলেই অন্য কোথাও মন দিতে হবে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে অথবা খুব জরুরি কোনও কাজ শুরু করলে মন অন্য দিকে যাবে। তাহলেই কমবে ধূমপানের ইচ্ছা।
৩. বিভিন্ন নিকোটিন গাম বা নিকোটিন স্ট্র্যাপ পাওয়া যায়। সেগুলি ব্যবহার করে দেখা যায়।
৪. মানসিক চাপ কাটাতেই ধূমপান করেন, এমন যুক্তি দেন অনেক ধূমপায়ী। কিন্তু ডাক্তাররা জানাচ্ছেন, মানসিক চাপ তো কাটেই না, বরং আরও একাধিক শারীরিক সমস্যা এসে জুড়ে বসে শরীরে।
৫. ধূমপান ছাড়তে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে পরিবার। বাড়ির লোকের কথা ভেবেই বহু লোক এই অভ্যাস ছেড়েছেন। প্রয়োজনে এমন লোকের সাহায্য নেওয়া উচিত, যিনি এই নেশা ছেড়েছেন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: শুধুই স্বাদ নয়, মধুর গুণের তালিকাও দীর্ঘ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )