Turmeric: দীর্ঘদিন পেটের সমস্যায় ভুগছেন? এক চিমটে হলুদে মিলতে পারে সমাধান, রয়েছে আরও গুণ
Health Tips: হলুদের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আয়ুর্বেদে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কলকাতা: প্রাচীনকাল থেকেই হলুদকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদেও এর বহু ব্যবহার রয়েছে। রান্নাঘর থেকে সাজসজ্জা, সর্বত্রই কাঁচা হলুদের অবাধ আনাগোনা। আসলে সামান্য এই উপাদান একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। খরচও কম। তাই যদি শারীরিক নানা সমস্যায় জেরবার হয়ে থাকেন এই পদ্ধতি একবার অবলম্বন করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কী কী উপকারে লাগে কাঁচা হলুদ বা গুঁড়ো হলুন।
- হলুদ আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষের ক্ষতিকারী ফ্রি র্যাডিক্যাল ধ্বংস করতে কাজ করে।
- হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট উপাদান বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে খাদ্যনালীকে বাঁচায়।
- কাঁচা হলুদে থাকা কারকিউমিন হাড়ের ক্ষয় ও হাড়ের গঠনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখে ও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখে। দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকেই। যাঁরা নিয়মিত ভারী ব্যায়াম করেন তাঁদের শক্তি বাড়াতেও এটি উপকারী।
- কাঁচা হলুদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ স্ট্রেস, উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেয়।
- হলুদে থাকা কারকিউমিন ক্যান্সার দূর করতে সহায়তা করে। কারকিউমিন ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে তাদের নষ্ট করে দেয়।
- নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খেলে থাইরয়েডের সম্ভাবনা কমে। থাইরয়েড থেকে বাঁচতে হলুদে থাকা কারকিউমিন সাহায্য করে।
- কাঁচা হলুদ অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ বিভিন্ন তাড়াতাড়ি ক্ষত সারাতে সহায়তা করে
- কাঁচা হলুদে গ্যাস্ট্রো-প্রটেক্টিভ গুণ রয়েছে যা খাবার পরিপাকে সাহায্য করে। কাজেই হজমের গোলমাল, গ্যাসের সমস্যার ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ উপকারী।
রূপচর্চায় উপকারী: শুধু তাই নয়, কাঁচা হলুদ রূপচর্চার জন্য সমান উপকারী। যেকোনওরকম ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে মাখলে উপকার মিলবে হাতেনাতে।জন্য কাঁচা হলুদের পেস্ট ঘরেই তৈরি করে মুখে লাগানো যেতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে বাঁচায়।
মাত্রাতিরিক্ত হলুদে হতে পারে ক্ষতি: তবে অতিরিক্ত হলুদ খেলে আবার সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৪০০-৬০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া যেতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খেলে ডায়েরিয়ার পাশাপাশি পেটের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেও জানিয়েছেন অনেকেই। অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে হলুদ ইউটেরাইন স্টিমুল্যান্ট হিসাবে কাজ ফলে হলুদ ঋতুস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
বিঃদ্রঃ জটিল কোনও সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )