Moscow Attack:নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩, মস্কোর কনসার্ট হলে হামলার নেপথ্যে কে? রাশিয়ার দাবিতে ধন্দ
World News: বন্দুকবাজের হানায় রাশিয়ায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছে গেল ১৪৩-এ। ইতিমধ্যে ৪ সন্দেহভাজন বন্দুকবাজ-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের প্রশাসন।
নয়াদিল্লি: বন্দুকবাজের হানায় রাশিয়ায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছে গেল ১৪৩-এ (Moscow Terror Attack Death)। ইতিমধ্যে ৪ সন্দেহভাজন বন্দুকবাজ-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের প্রশাসন। সে দিনের হামলার ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি স্থানীয়রা। আতঙ্কের চোরাস্রোত বইছে।
কী কী ঘটল?
আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তাতে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক এলাকা থেকে ৪ জন সন্দেহভাজন বন্দুকবাজকে গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি গাড়িতে করে পালাচ্ছিল অভিযুক্তরা। তাদের ধাওয়া করে ধরা হয়। রুশ প্রশাসনের দাবি, হামলাকারীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগ পাওয়া গিয়েছে। তারা রুশ-ইউক্রেন সীমান্তের দিকেই পালানোর চেষ্টা করছিল। যদিও ইউক্রেন এই হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। বরং তাদের দাবি, এই হামলার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছে রাশিয়া নিজেই। পাশাপাশি, ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায়স্বীকার করে ইতিমধ্যে বিবৃতিও দিয়েছে। শুধু তাই নয়। তাদের দাবি, হামলার পর নিজের ঘাঁটিতে নিরাপদে ফিরেও গিয়েছে তাদের সদস্যরা। তা হলে প্রশ্ন হল, কাদের গ্রেফতার করল রুশ প্রশাসন?
হামলা সম্পর্কে
গত শুক্রবার, মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে 'ক্যামোফ্লেজ' উর্দিতে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালিয়েছিল একদল বন্দুকবাজ। গ্রেনেড-ও ছোড়া হয়। থিকথিকে জমায়েতে এমন হামলায় তুমুল হইচই শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছুক্ষণ হতাহতের সংখ্যা বোঝা যায়নি। তবে বড়সড় কোনও বিপর্যয় যে ঘটেছে, সেটা আশঙ্কা করা গিয়েছিল। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে ছবিটা। একসময়ে ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা হল। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাসে যেন গোটা চত্বরকে গিলে ফেলবে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন-তিনটি হেলিকপ্টার পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। মাঝরাতের পর রুশ প্রশাসন জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। কিন্তু তত ক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। গত কাল পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে ওই হামলায় ইতিমধ্যে ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অনেকে। এলোপাথারি গুলি থেকে বাঁচতে অনেকে হলের পিছনের দরজা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেছিলেন। কেউ কেউ আবার আসনের নিচে ঢুকে পড়েন। তার পরও রক্তক্ষয় আটকানো যায়নি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, স্পেন জার্মানি, এই হামলার ইতিমধ্যে নিন্দা করেছে। আমেরিকাও এর সমালোচনা করেছে। যদিও তাদের বক্তব্য, এর নেপথ্যে ইউক্রেন-যোগের কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। ভারতের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হামলার নিন্দা করেন।