![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
India-Pakistan News: ভারতীয় হৃদয়ে জীবনে ফেরা পাকিস্তানের যুবতির
India-Pakistan News: পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা ১৯ বছরের আয়েশার শরীরে হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে তাঁর প্রাণ বাঁচালেন চেন্নাইয়ের চিকিৎসকরা।
![India-Pakistan News: ভারতীয় হৃদয়ে জীবনে ফেরা পাকিস্তানের যুবতির 19 year old woman from Karachi undergoes heart transplant in Chennai India-Pakistan News: ভারতীয় হৃদয়ে জীবনে ফেরা পাকিস্তানের যুবতির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/04/26/cf45f8b81c95bbfaa7539ff8b265d1311714149334583990_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
চেন্নাই: সীমান্তের ওপার থেকে প্রতিবেশী দেশ সবসময় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলেও ফের সম্প্রীতির নজির গড়ল ভারত (India)। প্রাণ বাঁচাতে ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি যুবতীর শরীরে লাগানো হল ভারতীয় হৃদয় (Heart)। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে (Chennai)।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৯ বছর বয়সী পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা ওই যুবতীর নাম আয়েশা রশিদ। হৃদপিণ্ডের সমস্যার কারণে ২০১৯ সালে আচমকা ক্যাডিয়াক অ্যারেস্ট হয় আয়েশার। চিকিৎসার প্রয়োজনে সেসময় ভারতের চেন্নাইয়ে এসেছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে যান। কিন্তু, পরে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ২০২৩ সালের জুন মাসে ফের চেন্নাইয়ে ফিরে আসেন। চিকিৎসা করানোর বিষয়ে তাঁর দৃঢ মানসিকতা থাকলেও আর্থিক পরিস্থিতি ও মানসিক চাপের কারণে তিনি তা করাতে প্রচুর বাধা বিপত্তিরও সম্মুখীন হন।
তাঁর এই লড়াইকে সম্মান জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন বিভাগের প্রধান ডাঃ কে আর বালাকৃষ্ণন। শেষ পর্যন্ত তাঁর ও চেন্নাইয়ের একটি হেলথকেয়ার ট্রাস্ট ঐশ্বর্যমের যৌথ প্রচেষ্টায় আশার আলো দেখতে পান আয়েশা। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি দিল্লিতে থেকে চেন্নাইয়ে একটি হৃদয় এয়ারলিফট করে নিয়ে এসে তাঁর শরীরে প্রতিস্থাপন করে জীবন বাঁচানো হয়।
আরও পড়ুন: Spiderman: দিল্লির রাস্তায় বিপজ্জনক স্টান্ট, সঙ্গিনী সহ আটক 'স্পাইডারম্যান'!
এপ্রসঙ্গে ডাঃ কে আর বালাকৃষ্ণন বলেন, ওই শিশুটি প্রথমে ২০১৯ সালে এসেছিল। এখানে আসার পরেই ওর হৃদপিণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সিপিআর দিয়ে আমরা ওর শরীরে একটি আর্টিফিশিয়াল হার্ট পাম্প লাগিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর ও সুস্থ হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যায়। পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় হৃদপিণ্ডের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছিল। ওকে বারবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছিল। কিন্তু, পাকিস্তানে বিষযটি সোজা ছিল না। এদিকে যেমন ওখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জামের অভাব ছিল অন্যদিকে ওদের কাছে কোনও টাকাও ছিল না। তাই আমি ও ঐশ্বর্যম ট্রাস্ট ও কয়েকজন হার্টের রোগী ১৯ বছরের ওই যুবতীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যাই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)