Assam Flood Situation: অসমে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, সাহায্যের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
Assam Flood Situation Worsens: ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যের ১৭ জেলায়। বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। জলে ভেসে মৃত্যু ২ শিশুর।
নয়াদিল্লি: ক্রমেই খারাপ হচ্ছে অসমের (Assam) বন্যা পরিস্থিতি। গতকালই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ভয়াবহ অবস্থা রাজ্যের ১৭ জেলায়। বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাড়ে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বারপেটা জেলার চেঙ্গায় এবং মরিগাঁওয়ের মায়োঙে বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। এরই মধ্যে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
বারপেটা, বিশ্বনাথ, চিরাঙ্গ, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, জোরহাট, কামরূপ, লখিমপুর, মরিগাঁও, তিনসুকিয়া, শোনিতপুর সহ একাধিক জেলায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ১০০ জন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সূত্রের খবর, এর মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি লখিমপুরের। বন্যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন ১.৩ লক্ষ মানুষ। এরপরেই নাম রয়েছে মাজুলীর। বন্যার জেরে ঘর ছাড়া প্রায় ৬৫ হাজার। দরঙে ঘর ছাড়া ৪১ হাজার ৩০০ জন।
আরও পড়ুন: মথুরায় নিষিদ্ধ মদ-মাংস বিক্রি, জন্মাষ্টমীতে ঘোষণা যোগীর
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে রাজ্যে ৯৫০টি গ্রাম জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কৃষি জমিও। প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমি জলমগ্ন। বন্যা কবলিত ১০টি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৩২১ জন শিশু সহ ওই ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৬১৯ জন। বিভিন্ন ত্রাণ সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪৭০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬২১.৩৪ কুইন্টাল চাল সহ ডাল, নুন এবং প্রায় ৫৮০ লিটার সরষের তেল দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসও।
একাধিক জায়গায় নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে ভাঙান। বারপেটা, বিশ্বনাথ, মরিগাঁও, নলবারি সহ একাধিক জায়গায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বারপেটা, দরং, লখিমপুর, মরিগাঁও, লখিমপুর, তিনসুকিয়ার বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রাস্তা। দেলুগে জেলায় ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৪৪ গবাদি পশু আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে পোলট্রিরও। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ কমিশন জানিয়েছে, ডিব্রুগড়,জোরহাট, কামরূপ, শোনিতপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি কুশিয়ারা নদী যা বরাক উপত্যকার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে, তারও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে কোভিড টিকাকরণে ১ নম্বরে উত্তরপ্রদেশ, দু'টো ডোজের নিরিখে শীর্ষে মহারাষ্ট্র