সোদপুরে একই পরিবারের তিন জনের রহস্যমৃত্যু, দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার
জানা গেছে, মা ও ছেলের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁদের বিষক্রিয়া মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান।
সোদপুর: উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু। সোদপুরের স্টেশন রোডের কাছে বসাক বাগানে এই ঘটনা ঘটেছে।দরজা ভেঙে তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, স্বামী ও স্ত্রী এবং তাঁদের ১৭ বছরের পুত্র সন্তানের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, মা ও ছেলের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। তাঁদের বিষক্রিয়া মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। অন্যদিকে, গৃহকর্তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। বন্ধুকে লেখা চিঠিতে গৃহকর্তা বলেছেন,তাঁদের আর ভালো লাগছে না। তাঁদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। গৃহকর্তা লিখেছেন, একজন কয়েক হাজার টাকা পেতেন তাঁর কাছ থেকে। সেই টাকা শোধ করে দিতে বন্ধুতে বলেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গৃহকর্তার কাপড়ের ব্যবসা ছিল। দেনার দায়ে মানসিক অবসাদে সপরিবারে তাঁরা আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হাবড়ায় বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল স্বামী-স্ত্রী ও ৮ বছরের সন্তানের মৃতদেহ। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্বামী-স্ত্রী ও ও ৮ বছরের সন্তানের মৃতদেহ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, খাটে পড়েছিল স্বামী ও ৮ বছরের ছেলের মৃতদেহ।দু’জনেরই মুখ থেকে গ্যাজলা বের হচ্ছিল।পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল স্ত্রী শম্পার দেহ। প্রতিবেশীদের দাবি, মৃত দম্পতির এটা দ্বিতীয় বিয়ে। বছর দেড়েক আগে, পেশায় ফুল ব্যবসায়ী প্রকাশ বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শম্পা। সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ীর জ্বর আসে। ছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যাও। প্রতিবেশীদের সন্দেহ, তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছিল, রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে কী করোনার ভয় কোনও ভাবে কাজ করেছে? পুলিশের দাবি, ঘর থেকে মৃত গৃহবধূর লেখা একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তাতে লেখা রয়েছে,আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য আমার স্বামী দায়ী নয়। শ্বশুর-শাশুড়ি ও এক প্রতিবেশীর সঙ্গে সমস্যা চলছিল। তার জন্যই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত।একই দাবি করেছিলেন হাবড়ার পুর প্রশাসকেরও। তিনি জানিয়েছিলেন,একটা সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, এতে পারিবারিক অশান্তির কথা উল্লেখ করেছে।বিবাহ নিয়েও সমস্যা ছিল, তদন্তেই জানা যাবে। কোভিড পজিটিভ এরকম কোনও রিপোর্ট আমরা পাইনি। তবে যিনি মারা গিয়েছেন তাঁর জ্বর ছিল। পারিবারিক অশান্তির কথা জানতে পেরেছি।
মৃতের বাবা বলেছিলেন,দু’বছর ধরে আমরা এখানে আসিনি...ছেলের সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল...আমায় মারধর করত।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্বামী ও সন্তানকে কীটনাশক খাইয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।