Bihar: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হঠাৎ সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা, প্রধানমন্ত্রী পাঠিয়েছেন, ফেরত দেব না, দাবি বিহারের বাসিন্দার
ব্যাঙ্কের ভুলে বিহারের খাগাড়িয়া জেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিৎ দাসের অ্যাকাউন্টে চলে যায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। তিনি সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় গ্রেফতার হয়েছেন।
খাগাড়িয়া: বিরোধী দলগুলি বারবার অভিযোগ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় এলে দেশের সব নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেননি তিনি। এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেই টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করে গ্রেফতার হলেন বিহারের এক ব্যক্তি।
ব্যাঙ্কের ভুলে বিহারের খাগাড়িয়া জেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিৎ দাসের অ্যাকাউন্টে চলে যায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা। গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পরে ভুল বুঝতে পেরে রঞ্জিৎকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠায়। কিন্তু একাধিকবার নোটিস দেওয়ার পরেও টাকা ফেরত দেননি তিনি। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টাকা পাঠিয়েছেন। ১৫ লক্ষ টাকার প্রথম কিস্তি পাঠানো হয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। সেই টাকা তিনি খরচ করে ফেলেছেন। টাকা ফেরত না দেওয়ায় রঞ্জিতের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে রঞ্জিৎ বলেছেন, ‘আমি এ বছরের মার্চে যখন টাকা পাই, তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি পুরো টাকাটাই খরচ করে ফেলেছি। এখন আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর টাকা নেই।’
মানসী থানার স্টেশন হাউস অফিসার দীপক কুমার জানিয়েছেন, ‘ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা রঞ্জিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’
বিহারের এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগে বেশ কয়েকবার সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিজেপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। তবে এই বিষয়ে বিতর্ক কোনওভাবেই থামছে না। বিহারের ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।