Cyclone Jawad: ঘূর্ণিঝড়-সতর্কতায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের
Cyclone Jawad Alert: বাতিল হাওড়া-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই মেল, হাওড়া-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভাস্কো দা গামা এক্সপ্রেস।
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর সতর্কতায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-হায়দরাবাদ এক্সপ্রেস, হাওড়া-এমজিআর চেন্নাই মেল, হাওড়া-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভাস্কো দা গামা এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন।
বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকায় আছে জয়নগর-পুরী, সেকেন্দরাবাদ-হাওড়া, ভিল্লুপুরম-পুরুলিয়া, এমজিআর চেন্নাই-হাওড়া, পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস।
এদিকে, ক্রমশঃ এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় জওয়াদ। আজই উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তার পর আরও কিছুটা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামীকাল দুপুর নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে। এরপর ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে হলেও, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, জওয়াদের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। পুরীর কাছে পৌঁছেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। বাংলায় ঢোকার আগে তা পরিণত হবে নিম্নচাপে। সেই নিম্নচাপ সুন্দরবনের উপর দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাবে।
তবে এর প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও হুগলিতে। আগামীকাল কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কায় গতকাল রাত থেকেই লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যার নাম ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কন্ট্রোল রুমে থাকছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল, সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভার প্রতিনিধিরা। এর পাশাপাশি, গঙ্গাবক্ষেও চলছে নজরদারি। আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের আশঙ্কায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। ওড়িশায় ১৯টি জেলায় বন্ধ স্কুল। এনডিআরএফের ৪৬টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সেনা ও নৌবাহিনীকেও। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, ভিজিয়ানাগ্রাম ও শ্রীকাকুলাম, এই তিনটি জেলায় নিচু এলাকা থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। তিন জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফের ১১, উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৬ এবং মেরিন পুলিশের ১০টি দলকে। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অন্ধ্র ও ওড়িশায় আগামীকাল স্থগিত রাখা হয়েছে ইউজিসির নেট পরীক্ষা।