(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Cyclone Tauktae News: স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর দুর্বল হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তওতে, পাঁচ রাজ্যে মৃত্যু ১৭ জনের
ল্যান্ডফল হওযার পর প্রবল বর্ষণ ও ঝড় হয়। গুজরাতে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে সেনার ১৮০ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় এনডিআরএফেস ৪৪ টি দল।
মুম্বই:দুদিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় তওতে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। গতকাল রাতে গুজরাতের ৬০ কিলোমিটার দূরে দিউতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তওতে। ল্যান্ডফল হওযার পর প্রবল বর্ষণ ও ঝড় হয়। গুজরাতে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে সেনার ১৮০ টি দল মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিধ্বংসী ঝড়ের তাণ্ডব মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় এনডিআরএফেস ৪৪ টি দল। গুজরাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে ঝড়ের দাপচে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোয়াতে ২, কেরলে ২,কর্ণাটকে ৪, মহারাষ্ট্রে ৬ ও গুজরাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে আরব সাগরের এই ঘূর্ণিঝড় মুম্বইয়ে দাপট দেখায়। শহরের বেশ কিছু জায়গায় ভারী বর্ষণে জল জমে যায়। গাছ ও খুঁটি উপড়ে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মহারাষ্ট্রের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় রাজ্যের কোঙ্কন অঞ্চলে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি নৌকা সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার পর তিন নাবিক নিখোঁজ। রায়গড় জোলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এক নাবিকের মৃত্যু হয়েছেসিন্ধুদুর্গ জেলায়। ঠানে জেলার নবি মুম্বই ও উল্লাসনগরে গাছ পড়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেছেন, সিন্ধুদুর্গ জেলার আনন্দওয়াড়ি বন্দরগাহতে নোঙর করে রাখা দুটি নৌকা ডুবে যায়। দুই নৌকায় ছিলেন সাত নাবিক। ঘূর্ণিঝড় যখন মহারাষ্ট্রের উপকূলের দিকে এগোয় ও মুম্বইয়ের কাছাকাছি পৌঁছয় তখন পরিস্থিতির জেরে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত বিমানের ওঠা-নামা স্থগিত রাখা হয়। এরপর রাত আটটা পর্যন্ত বিমান পরিচালনা স্থগিত রাখা হয়।
ঘূর্ণিঝড় তওতে গত ২৩ বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাতের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসায় পোরবন্দরের সিভিল হাসপাতালের ১৭ জন কোভিড আক্রান্তকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়। তাঁর ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন।
অন্যদিকে, কর্ণাটকে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে উপকূলবর্তী ও মালনাড জেলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত ১২১ গ্রাম ও তালুক ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৩ টি ত্রাণ শিবিরে ২৯০ জন আশ্রয় নিয়েছেন।