আগামী ২ মাস ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিককে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য, রেশন মিলবে কার্ড না থাকলেও, রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ ১১ হাজার কোটি, ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর
"ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন" কার্ড চালু হবে অগাস্ট ২০২০ থেকে। আগামী মার্চের মধ্যে সব দেশবাসী এর আওতায় চলে আসবেন।
নয়াদিল্লি: লকডাউন পর্বের শুরু থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্কট নিয়ে সরব হচ্ছিল বিরোধীরা। ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পর এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ৩টি বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার বরাদ্দ ব্যাখ্যার দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানান, আগামী ২ মাসের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তিনি বলেন, ২ মাসের জন্য বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হবে। রেশন কার্ড না থাকলেও বিনামূল্যে খাদ্যশস্য। সীতারমণ বলেন, "ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন" কার্ড চালু হবে অগাস্ট ২০২০ থেকে। আগামী মার্চের মধ্যে সব দেশবাসী এর আওতায় চলে আসবেন। ফলে দেশের যে কোনও জায়গায়, পরিযায়ী শ্রমিকরা গিয়ে রেশন কার্ড দেখিয়েই নিতে পারবেন রেশন। পাশাপাশি, যাঁদের রেশন কার্ড নেই, খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী তাঁদের ৫ কেজি প্রতি ব্যক্তি চাল অথবা গম বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সঙ্গে ১ কিলো চানা (ছোলা)। এর ফলে উপকৃত হবেন ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ীদের রেশনে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজ্যগুলি পরিযায়ীদের চিহ্নিত করে খাদ্যশস্য রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা করবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করার কাজ করবে রাজ্য। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলছে কেন্দ্র। এর জন্য রাজ্যগুলির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। পরিযায়ী শ্রমিকদেরও ১০০ দিনের কাজে নথিভূক্তিকরণে ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, লকডাউনে অসংখ্য শ্রমিকের কাজ চলে গেছে। শহর ছেড়ে তাঁরা এখন ফিরছেন গ্রামে। অথচ রোজগার নেই! সেকথা মাথায় রেখেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০ দিনের কাজের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সীতারমণ বলেন, গ্রামে ফিরে ১০০ দিনের কাজে যোগ দিতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ১৪ কোটি ৬২ লক্ষ পর্যন্ত কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছে ১৩মে পর্যন্ত। রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শাসকদের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ২.৩৩ লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়া হয়েছে, ১৮২ টাকা থেকে মজুরি বাড়িয়ে ২০২ টাকা। অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি শহুরে গরিব ও গৃহহীন মানুষের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বলেন, পরিযায়ী শ্রমিক ও শহুরে গরিবের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কম ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে। পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে। এছাড়া, ৩ বার খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করার জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।