Fodder Scam Case: পশুখাদ্য মামলায় ফের দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদব
Fodder Scam: ১৩৯ কোটি টাকার পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত আরজেডি প্রধান ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় লালুর সাজা ঘোষণা করবে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত।
রাঁচি: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (Fodder Scam) সংক্রান্ত একটি মামলায় নতুন করে দোষী সাব্যস্ত হলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় লালুর সাজা ঘোষণা করবে রাঁচির বিশেষ সিবিআই আদালত (Special CBI Court in Ranchi)।
ডোরান্ডা ট্রেজারি কেস (Doranda treasury case) নামে পরিচিত এই মামলা। বেআইনিভাবে ডোরান্ডা ট্রেজারি থেকে ১৩৯.৩৫ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পশুখাদ্য মামলা এটি। এই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হলেন লালু। এই মামলায় ২৪ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। ৩৫ জন অভিযুক্তের তিন বছরের কম সময়ের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারপতি এস কে শশী। এবার লালুর সাজা ঘোষণা করা হবে।
১৯৯৬ সালে সিবিআই ডোরান্ডা পশুখাদ্য মামলায় মামলা দায়ের করে। ১৭০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের মধ্যে ৫৫ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সাতজন সরকার পক্ষের হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালত রায় দেওয়ার আগেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন দু’জন। এখনও ফেরার ৬ জন অভিযুক্ত। ৯৯ জন অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
এই পশুখাদ্য মামলায় লালু ছাড়াও প্রাক্তন সাংসদ জগদীশ শর্মা, বিহারের তৎকালীন প্রাণীসম্পদ দফতরের সচিব ড. আর কে রানা, প্রাণীসম্পদ দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর কে এম প্রসাদ অভিযুক্ত।
এর আগে দুমকা, দেওঘর ও চাইবাসা ট্রেজারি সংক্রান্ত চারটি মামলায় মোট ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে লালুকে। তিনি অবশ্য পটনা হাইকোর্ট থেকে চারটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন। কিন্তু নতুন করে আরও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি ফের বিপাকে।
আরজেডি প্রধান লালু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ৯৫০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি হয়। ১৯৯৬ সালে এই কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ৫৩টি আলাদা মামলা দায়ের করে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয় লালুকে। পরে তিনি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হন। ফের আরও একটি মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত।