Uttar Pradesh: উত্তরপ্রদেশে বিষাক্ত টফি খেয়ে মৃত ৪ শিশু
Uttar Pradesh News: পুলিশের সন্দেহ, কেউ রাস্তায় বিষাক্ত টফি ফেলে রেখে গিয়েছিল। চারটি শিশু সেই টফি খায়। এরপরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কুশীনগর (Kushinagar) জেলার কাশ্য (Kasya) অঞ্চলে বিষাক্ত টফি খেয়ে মৃত্যু হল চারটি শিশুর। তাদের মধ্যে তিনজন ভাই-বোন বলে জানা গিয়েছে। আজ সকালে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তদন্তের নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath)
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Uttar Pradesh Chief Minister Yogi Adityanath) এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যে পরিবারের সন্তানদের মৃত্যু হয়েছে, সেই পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্যও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
তিন ভাই-বোনের মৃত্যু
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুদের নাম মঞ্জনা (৫), সুইটি (৩) ও সমর (২)। তারা তিনজন ভাই-বোন। চতুর্থ শিশুটির নাম অরুণ। তার বয়স পাঁচ বছর। তারা সবাই কাছাকাছি বাড়িতে থাকত।
পুলিশের সন্দেহ, কেউ রাস্তায় বিষাক্ত টফি ফেলে রেখে গিয়েছিল। চারটি শিশু সেই টফি খায়। এরপরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চারটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স আসতে অনেক দেরি করে। তার ফলে শিশুদের চিকিৎসা শুরু করতে অনেক দেরি হয়। এই কারণেও তাদের মৃত্যু হতে পারে।
তদন্ত শুরু
কুশীনগরের অতিরিক্ত জেলাশাসক বরুণ কুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, ‘গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আজ সকালে দিলীপনগর গ্রামের এক মহিলা মুখিয়া দেবী তাঁর বাড়ি ঝাঁট দেওয়ার সময় একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ দেখতে পান। সেই ব্যাগে তিনি পাঁচটি টফি ও কিছু কয়েন পান। এরপর ওই মহিলা তাঁর পরিবারের শিশুদের এবং পাড়ার আরও একটি শিশুকে টফিগুলি দেন। চারটি শিশু একটি করে টফি খায়। এরপরেই তারা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একটি টফি কেউ খায়নি। সেটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’