(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
হাথরসকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল রাজপথে মমতা, বিকেল ৪ টেয় তারামণ্ডল থেকে গাঁধীমূর্তি পর্যন্ত মিছিল
এদিন মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ-অবস্থান করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস, মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়...
কলকাতা ও হাথরস: উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের মেয়ের সঙ্গে নৃশংসতার প্রতিবাদে এবার রাজপথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বিকেল ৪ টেয় বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম থেকে গাঁধীমূর্তি পর্যন্ত মিছিল। পাশাপাশি দলিত নিগ্রহের প্রতিবাদে শনি ও রবিবার ব্লকে ব্লকে অবস্থান বিক্ষোভ এবং মিছিলের কর্মসূচিও নিয়েছে তৃণমূল।
এদিকে শুক্রবার হথরসে তৃণমূলের মহিলা সাংসদদের হেনস্থার অভিযোগে সন্ধেয় কলকাতার মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ ও মোমবাতি মিছিল করে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার সকালে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল উত্তরপ্রদেশের হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
কিন্তু গ্রামে ঢোকার দেড় কিলোমিটার আগেই তাঁদের আটকে দেয় যোগী সরকারের পুলিশ। তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের গায়ে হাত দিয়ে তাঁকে ধাক্কা দেন যোগী প্রশাসনের এক পুলিশকর্তা।
প্রতিবাদ করে এগিয়ে যান ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু তাঁকেও ধাক্কা মারা হয়। মাটিতে পড়ে যান ডেরেক। বাধা পেয়ে একসময় সেখানেই বসে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এদিন স্থানীয় থানায় গিয়ে যোগী সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁদের হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদরা।
এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, জঙ্গলের রাজস্ত চালাচ্ছে। আমাদের সাংসদদের আটকে দিয়েছে। দলিতদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
উল্টোদিকে, রাজনৈতিক নাটক বলে পাল্টা কটাক্ষ করেন যোগী মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। আরেক বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এ রাজ্যে ধর্ষণ হলে তৃণমূল সরকারের কী ভূমিকা হয়, সেটা মানুষ দেখেছে।
এরপরই, এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন কলকাতায় মিছিল করে তৃণমূল। মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ-অবস্থান করে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। হাথরস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়।
হাথরসের ঘটনায় যোগী সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেও, এ রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে নারী নিগ্রহ নিয়ে তৃণমূল সরকারের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল গেছে ভাল। কিন্তু পার্কস্ট্রিট থেকে জলপাইগুড়ি--তৃণমূল সরকার কী করেছে। আবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এটা বিজেপি আরএসএসের পুরনো কালচার। আমাদের এখানেও তো হয়। এখানেও তো ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়।