KANGANA LIVE UPDATES: বালাসাহেবের ভয় ছিল শিবসেনা একদিন কংগ্রেসে পরিণত হবে, উদ্ধবকে কটাক্ষ কঙ্গনার
KANGANA LATEST UPDATES: মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে অথবা গঠন করা হতে পারে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)
LIVE
Background
মুম্বই: কঙ্গনা শিবসেনা সংঘাতে নতুন মোড়। এবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মাদক যোগের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত শুরু করার জন্য লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে অথবা গঠন করা হতে পারে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। কঙ্গনা রানাওয়াতের বন্ধু, অফিসের কর্মীদের তদন্তের সূত্রে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুতদন্তে যখন বলিউডের মাদক-যোগ নিয়ে কাটাছেঁড়া চালাচ্ছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, ঠিক সেইসময় একের পর এক ট্যুইট-বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছিলেন কঙ্গনা। তিনি দাবি করেন, বলিউডের ৯৯ শতাংশই মাদক সেবন করে থাকে। এমনকী, তিনি এনসিবি-কে এই মর্মে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন।
এরমধ্যেই, মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন কঙ্গনা। গত কয়েকদিন ধরে যাঁর সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিরোধী দলগুলির সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, নিজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেন তিনি। যার নিরিখে, তাঁকে 'ওয়াই প্লাস' নিরাপত্তা প্রদান করা হয়।
এদিকে, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে বুধবারই তাঁর মণিকর্ণিকা ফিল্মসের দফতর ভেঙে দেয় শাসক দল পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা। যদিও, তাতেও দমে যাননি অভিনেত্রী। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে 'তুই' সম্বোধন করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। এখন, তাঁর বিরুদ্ধে মাদক-যোগের তদন্ত শুরু করতে চলেছে মুম্বই পুলিশ।
কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে মাদক-যোগের অভিযোগটি অবশ্য ৪ বছরের পুরনো। ২০১৬ সালে বোমা ফাটিয়েছিলেন অভিনেতা শেখর সুমনের ছেলে অধ্যয়ন। যাঁর সঙ্গে একসময় কঙ্গনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল! দীর্ঘ বিবাদ এবং কেচ্ছা-কেলেঙ্কারির পর সম্পর্ক ভেঙে যায়!
২০১৬-তে একটি সর্বভারতীয় দৈনিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধ্যয়ন দাবি করেন, ২০০৮ সালে ওর (কঙ্গনা) জন্মদিনে যাঁর যাঁর সঙ্গে ও কাজ করেছে, তাঁদের সবাইকে দ্য লীলাতে ডেকেছিল। তখন ও (কঙ্গনা) বলে, চলো আজ রাতে কোকেন নিই। আমি বলি, আমি নেব না। আমার মনে আছে, সেদিন রাতে আমি কোকেন নেব না বলায়, ওর সঙ্গে আমার খুব ঝগড়া হয়েছিল।
কঙ্গনা যখন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় বলিউডের ড্রাগ-যোগ নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়াচ্ছেন, মুম্বই পুলিশকে বিঁধছেন, ঠিক তখন অধ্যয়ন সুমনের এই ইন্টারভিউকে হাতিয়ার করেছে শাসক শিবসেনা। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেছেন, বিধায়ক সুনীল প্রভু এবং প্রতাপ সরনায়েকের অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিশ অভিযোগটি খতিয়ে দেখবে।
মহারাষ্ট্র সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে কঙ্গনা টুইটারে লেখেন, মুম্বই পুলিশ এবং অনিল দেশমুখের নির্দেশ মেনে নেব আমি। আমার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হোক। খতিয়ে দেখা হোক কল রেকর্ডসও। তাতে যদি কোনও মাদক পাচারকারীর সঙ্গে আমার সংযোগ রয়েছে বলে ধরা পড়ে, তাহলে ভুল স্বীকার করে নেব আমি। চিরকালের মতো মুম্বই ছেড়ে চলে যাব। আপনাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।
মহারাষ্ট্র সরকার ও উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার শিবসেনার প্রাণপুরুষ প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরেকে স্মরণ কঙ্গনা রানাউতের। প্রয়াত নেতার একটি পুরনো সাক্ষাৎকারকে রিপোস্ট করে কঙ্গনা লেখেন, শুক্রবার ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, মহান বালাসাহেব ঠাকরে আমার অন্যতম ফেভারিট আইকন। তাঁর সবচেয়ে বড় ভয় ছিল একদিন শিবসেনা জোট করবে এবং কংগ্রেসে পরিণত হবে। আমি জানতে চাই আজ নিজের দলকে দেখে তাঁর কেমন লাগছে? কঙ্গনা বারবার বোঝাতে চাইছেন, বিজেপির সঙ্গে জোট বেধে দীর্ঘদিন মহারাষ্ট্রে সরকার চালানো বাল ঠাকরে ভাল, কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার চালানো উদ্ধব ঠাকরে ভাল নন!
বৃহন্মুম্বই পুরসভা থেকে শুরু করে মুম্বই পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের হাতে প্রতিনিয়ত হেনস্থা হতে হচ্ছে কঙ্গনা রানাউতকে। এই প্রবণতা আটকাতে ব্যবস্থাগ্রহণ করা উচিত। এমনই আর্জি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হিমাচল প্রদেশের মহিলা কমিশন। কঙ্গনা ইস্যু নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত তদ্বির করছে হিমাচল প্রদেশ মহিলা কমিশন। হিমাচলের মেয়ে কঙ্গনার পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে কঙ্গনার অফিস ভাঙার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন বিজেপির শরিক রিপাবলিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া আঠাওয়ালের প্রধান, তথা মোদি সরকারের মন্ত্রী রামদাস আঠাওয়ালে। বলেন, বৃহন্মুম্বই পুরসভা যেভাবে তাঁর সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তা ভুল। তাঁর বিচার পাওয়া উচিত। এর আগে, বৃহস্পতিবার কঙ্গনা রানাউতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার শুক্রবার দাবি করেছেন, বৃহন্মুম্বই পুরসভা তাদের আইন অনুযায়ী কঙ্গনার অফিসের বিতর্কিত অফিস ভেঙেছে! এরসঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। কঙ্গনার তোলা অভিযোগও সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেও দাবি করেন পওয়ার।