উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র, নতুন করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ
COVID-19: ভারতের মতোই অন্যান্য কয়েকটি দেশেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
নয়াদিল্লি: দেশে ও বিদেশে সম্প্রতি আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে নতুন করে প্রায় ৯ হাজার জন একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন। যা ওই রাজ্যে গত তিন মাসে রেকর্ড। মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। পঞ্জাব, কেরলের মতো রাজ্যগুলিতেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ১ মার্চ থেকে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় ইন্ডোর ও আউটডোরে ১০০ ও ২০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
ভারতের মতোই অন্যান্য কয়েকটি দেশেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সেদেশের দক্ষিণ অংশে আংশিক লকডাউন চালু করেছে সরকার। ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশে ভাইরাস পাঠানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে ভারতের এই উদ্যোগের প্রশংসা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত দু’দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,৭৪২ জন। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১,০৩০,১৭৬। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কেরলের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এই দুই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি। এ মাসের শুরু থেকেই অমরাবতী জেলায় সংক্রমণ বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফের লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার।
১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু করার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পর্যায়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সি সব নাগরিক এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সি যাঁদের কো-মর্বিডিটির আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে টিকা পেয়েছেন করোনাযোদ্ধারা। এবার সাধারণ নাগরিকরাও টিকা পাবেন। সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন মিলবে। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে।
কেন্দ্রের এই ঘোষণার দিনই সকল রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, আতঙ্কের বিষয় হল, ভ্যাকসিন না নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য হবেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, বিষয়টি যেন গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়, যাতে সরাসরি প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনা যায়। কারণ, সবাইকে বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন দিতে চায় রাজ্য সরকার।
যদিও ভোটের আগে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের নেপথ্যে ভোট রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে বিরোধীরা।