এবার উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে গঙ্গার ধারে উদ্ধার বালিতে পোঁতা একাধিক দেহ, আতঙ্ক এলাকায়
উন্নাওয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, কিছু লোক দেহ না পুড়িয়ে নদীর ধারে বালিতে পুঁতে দেন। খবর পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি ঘটনাস্থলে আধিকারিকদের পাঠিয়েছি।
উন্নাও: কয়েকদিন আগেই গঙ্গার জলে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার মর্মান্তিক ছবি সামনে এসেছিল। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে গঙ্গায় জলে ভাসতে দেখা গিয়েছিল অনেক মৃতদেহ। ওই দেহগুলি করোনায় মৃতদের দেহ বলে সন্দেহ। এরইমধ্যে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার দুটি জায়গায় গঙ্গার ধারে বালিতে পোঁতা একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। দুটি জায়গার যে ছবি সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, বালির নিচে চাপা পড়ে রয়েছে দেহ। আর স্থানীয়রা সেগুলি দেখছেন। বেশিরভাগ দেহই মোডা গেরুয়া কাপড়ে। ওই দেহগুলি করোনা আক্রান্তদের কিনা, তা নিয়ে প্রশাসনের তরফে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
উন্নাওয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার বলেছেন, কিছু লোক দেহ না পুড়িয়ে নদীর ধারে বালিতে পুঁতে দেন। খবর পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি ঘটনাস্থলে আধিকারিকদের পাঠিয়েছি।
ওই দেহগুলি হাজিপুর এলাকার রউতাপুর গঙ্গাঘাটে মূলত দেহগুলি বালিতে পোঁতা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী শিরিষ গুপ্ত বলেছেন, বর্ষা আসতে আর মাসখানেক দেরি। গঙ্গায় জল বাড়লেই ওই দেহগুলি ভেসে যাবে। জেলা প্রশাসনের উচিত দেহগুলি তুলে উপযুক্ত শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত করা।
আধিকারিকরা অবশ্য এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁরা বলছেন, দেহগুলি তুললে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেলার এক পদস্থ আধিকারিক বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, চলতি করোনা অতিমারীতে মৃতের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৎকারের খরচও বেড়ে গিয়েছে। রীতি মেনে এক-একটি দেহ সৎকারের খরচ বেড়ে হয়েছে, ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এরফলে গরিবদের পক্ষে সেই খরচ বহন করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সেজন্য তাঁরা নদীর ধারে বালিতে পুঁতে দেওয়ার পথ বেছে নিচ্ছেন।
কয়েকদিন আগেই, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে গঙ্গার পাড় ধরে সার দিয়ে অসংখ্য পচাগলা দেহ পড়ে থাকার দৃশ্য দেখেছে দেশবাসী।
বিহারের বক্সার ও উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গঙ্গার পাড়ে শতাধিক দেহের স্তূপের দেখা মেলে। মৃতদেহের চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে কাক। বীভত্সতা এমন জায়গায় যে, এই ছবি দেখানো তো দূরের কথা, ভাষাতেও প্রকাশ করা যায় না।