এক্সপ্লোর
Advertisement
জমি সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু: সোনভদ্র যাওয়ার পথে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বাধা প্রিয়ঙ্কাকে, হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ কংগ্রেসের, ‘বেআইনি গ্রেফতারি’, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ভয় বাড়ছে, ট্যুইট রাহুলের
গত বুধবার সোনভদ্রের ঘোরাওয়াল এলাকায় একটি জমি নিয়ে বিবাদের জেরে স্থানীয় গ্রামপ্রধানের অনুগামীদের সঙ্গে গোন্ড আদিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। যজ্ঞ দত্ত নামে গ্রামপ্রধানের লোকজন গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এতে নিহত হয় ১০ জনের মৃত্যু হয়। দত্ত, তাঁর ভাই সহ ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের (রাজস্ব) নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা দশদিনে রিপোর্ট দেবে।
নয়াদিল্লি: প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ‘বেআইনি গ্রেফতারি’র প্রতিবাদে ট্যুইট রাহুল গাঁধীর। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে কয়েকদিন আগে জমিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু, অনেকের জখম হওয়ার ঘটনায় খোঁজখবর করতে যাচ্ছিলেন তিনি। আহতদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানোও উদ্দেশ্য ছিল। সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মী, সমর্থকরাও। নারায়ণপুরে তাঁদের আটকে দেওয়া হয় বলে জানান ডিআইজি পীযূষ কুমার শ্রীবাস্তব। বাধা পেয়ে প্রতিবাদে ধরনায় বসেন তিনি। তাঁকে স্থানীয় অতিথিশালায় নিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেসের অভিযোগ, দলের পূর্ব উত্তরপ্রদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদককে পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়েছে।
The illegal arrest of Priyanka in Sonbhadra, UP, is disturbing. This arbitrary application of power, to prevent her from meeting families of the 10 Adivasi farmers brutally gunned down for refusing to vacate their own land, reveals the BJP Govt’s increasing insecurity in UP. pic.twitter.com/D1rty8KJVq
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 19, 2019
রাহুল ট্যুইটে লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে প্রিয়ঙ্কার বেআইনি গ্রেফতারি উদ্বেগজনক। নিজেদের জমি খালি করে দিতে নারাজ ১০ আদিবাসীকে নৃশংস ভাবি গুলিতে হত্যা করা হল। তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা থেকে ওকে বিরত রাখতে এভাবে একতরফা ক্ষমতা প্রয়োগ থেকে বোঝা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছে না। এই ভয় বাড়ছে। এ ঘটনায় অন্যান্য শীর্ষ কংগ্রেস নেতারাও উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন, তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রিয়ঙ্কাকে শোনভদ্র যেতে বাধা দেওয়ায় গণতন্ত্রকে ‘প্রকাশ্যে অসম্মান’ করা হয়েছে বলে দাবি করে ট্যুইট করেছেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানো জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দার। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও বিজেপি সরকার উত্তরপ্রদেশকে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করে ট্যুইট করেন, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে অতিথিশালায় আটকে রেখে কি উত্তরপ্রদেশ সরকার সোনভদ্রে আদিবাসী ঘরের ১০ জনের হত্যাকে আড়াল করতে পারবে?
গত বুধবার সোনভদ্রের ঘোরাওয়াল এলাকায় একটি জমি নিয়ে বিবাদের জেরে স্থানীয় গ্রামপ্রধানের অনুগামীদের সঙ্গে গোন্ড আদিবাসীদের সংঘর্ষ হয়। যজ্ঞ দত্ত নামে গ্রামপ্রধানের লোকজন গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এতে নিহত হয় ১০ জনের মৃত্যু হয়। দত্ত, তাঁর ভাই সহ ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের (রাজস্ব) নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়েছে, যারা দশদিনে রিপোর্ট দেবে।
প্রিয়ঙ্কা আজ বারাণসী গিয়ে আগে বিএইচইউ ট্রমা সেন্টারে যান আহতদের দেখতে। সেখান থেকে ওই গ্রামের দিকে রওনা হয়ে বাধা পেয়ে তিনি রাস্তায় বসে পড়েন। বলেন, আমার ছেলের বয়সী একজনকে গুলি করা হয়েছে। সে হাসপাতালে আছে। কীসের ভিত্তিতে আমায় আটকানো হল?
এলাকার কংগ্রেস নেতা অজয় রাইয়ের অভিযোগ, সোনভদ্র যাওয়ার সময় প্রিয়ঙ্কাকে বারাণসী-মির্জাপুর সীমান্তে থামিয়ে পুলিশে হেফাজতে নেওয়া হয়।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
খবর
Advertisement