Russia-Ukraine Conflict: ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ তামিলনাড়ুর পড়ুয়ার
Russia-Ukraine War: বাঙ্কারে থাকাকালীন ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার পলতার আদীপ্ত বিশ্বাস। তাঁকে অবশ্য ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে যোগ না দিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়েছে।
চেন্নাই: রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনের (Ukraine) প্যারামিলিয়ারি ফোর্সে (Paramilitary Forces) যোগ দিলেন তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কোয়েম্বাত্তুর (Coimbatore) জেলার এক পড়ুয়া। এই পড়ুয়ার নাম সাইনিকেশ রবিচন্দ্রন (Sainikesh Ravichandran)। তাঁর বয়স ২১ বছর।
২০১৮ সালে ইউক্রেনে যান রবিচন্দ্রন। তিনি ভর্তি হন খারকিভ শহরের ন্যাশনাল এরোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে। তাঁর কোর্স শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছরের জুলাইয়ে। কিন্তু তার কয়েকমাস আগেই যুদ্ধ শুরু হওয়ায় রবিচন্দ্রনের কোর্স শেষ হতে দেরি হবে।
এই পড়ুয়ার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, ‘তিনি ভারতীয় সেনায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার রবিচন্দ্রনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পায় পরিবার। তখন রবিচন্দ্রন তাঁর পরিবারের লোকজনকে জানান, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইউক্রেনের প্যারামিলিয়ারি ফোর্সে যোগ দিয়েছেন।’
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার পলতার শ্রীপল্লির বাসিন্দা আদীপ্ত বিশ্বাস বাঙ্কারে বসেই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি গত বছর ইউক্রেনে যান। কিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের পড়ুয়া তিনি। পলতায় আদীপ্তর বাড়ির পাশেই বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি।কাছেই ব্যারাকপুরে ভারতের প্রাচীনতম ক্যান্টনমেন্ট। চারদিন বাঙ্কারে থাকার সময় ইউক্রেনীয় সেনার লড়াই দেখে মাথাচাড়া দিয়েছিল ছোটবেলার ইচ্ছেটা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন জানিয়েছিলেন পলতার তরুণ।তবে শেষপর্যন্ত ইচ্ছেপূরণ হয়নি। ইউক্রেনীয় সেনার জবাব মেলার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে তড়িঘড়ি কিভ ছাড়তে হয়। বৃহস্পতিবার ফিরেছেন পলতার বাড়িতে।
বাড়ি ফিরে আদীপ্ত জানিয়েছেন, ‘ছোট থেকেই সেনাবাহিনীতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। ইউক্রেনীয় সেনার সহযোগিতা আর ওদের সাহস দেখে আর্মি ভলান্টিয়ার হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করি। সরকার কিভ ছাড়তে বলায় বেরিয়ে আসি, হাঙ্গেরিতে পৌঁছই।’
যুদ্ধভূমি থেকে ছেলের ফিরে আসার অপেক্ষায় নিদ্রাহীন রাত কেটেছে মায়ের। এক্ষেত্রে যে ছেলের ইচ্ছেপূরণ হয়নি, তা জেনে মিলেছে স্বস্তি।
গিয়েছিলেন ডাক্তার হতে। সেই স্বপ্ন সফল হওয়ার আগেই ফিরতে হয়েছে। তবে সুযোগ পেলে যুদ্ধভূমিতেই ফিরতে চান আদীপ্ত।