SBI Bank Alerts: কিউ আর কোড দুর্নীতি থেকে সাবধান, সতর্কবার্তা এসবিআইয়ের
State Bank of India: দেশে প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা চালু হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে আর্থিক প্রতারণা।
নয়াদিল্লি: দেশে ডিজিট্যাল পেমেন্ট (Digital Payment) বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গেই বেড়েছে আর্থিক প্রতারণা। অনলাইনে পেমেন্ট (Online Payment) করতে গিয়ে প্রতারকদের কবলে পড়ে অনেকেই বিপুল অর্থ খোয়াচ্ছেন। এরই মধ্যে নতুন বিপদ কিউ আর কোড দুর্নীতি (Q R Code Scan Scam)। এর মাধ্য়মেও প্রতারিত হচ্ছেন বহু মানুষ। এই প্রতারণা রুখতেই এবার মানুষকে সতর্ক করে দিল (State Bank of India) স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)।
ট্যুইট করে সতর্কবার্তা এসবিআইয়ের
ট্যুইট করে এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘কিউ আর কোড স্ক্যান করে টাকা নিচ্ছেন? ভুল করছেন। কিউ আর কোড দুর্নীতি থেকে সাবধান। কিউ আর কোড স্ক্যান করার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। খতিয়ে না দেখে কোনও কোড স্ক্যান করবেন না। সতর্ক থাকুন এবং এসবিআইয়ের সঙ্গে সুরক্ষিত থাকুন।’
এই ট্যুইটের সঙ্গেই এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি ইনফোগ্রাফিক ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে কিউ আর কোড স্ক্যান করার প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে। অজানা কিআর কোড স্ক্যান না করা এবং ইউপিআই পিন না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা
দেশে প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা চালু হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। এতদিন যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না, তাঁরাও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এই প্রকল্প চালু হওয়ার চার বছরের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ নাগরিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের পর থেকেই ডিজিট্যাল পেমেন্টের প্রবণতা বেড়েছে, করোনা আবহে তা আরও বেড়ে গিয়েছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে সাইবার অপরাধ। সেই কারণেই মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে এসবিআই।
প্রতারণার বিষয়ে সতর্কবার্তা এসবিআইয়ের
প্রতারণার বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে এসবিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কখনও কাউকে ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য দেবেন না। এমন পাসওয়ার্ড রাখবেন না, যা সহজেই প্রতারকরা অনুমান করতে পারে। সহজেই প্রতারকদের হাতে চলে যেতে পারে, এমন কোনও জায়গায় এটিএম কার্ড নাম্বার, পিন, ইউপিআই পিন, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্য লিখে রাখবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। সন্দেহজনক কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না, কোনও সন্দেহজনক অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না।’