Meena Kumari Comment: মেয়েদের মোবাইল দেওয়া উচিত নয়, বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের সদস্যার
উল্লেখ্য, বুধবার আলিগড়ে গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন। মীনা কুমারী বলেন, সমাজে মহিলাদের ওপর ক্রমবর্দ্ধমান অপরাধের ঘটনা নিয়ে সমাজকে ভাবনাচিন্তা করতে হবে।
লখনউ: বিতর্কিত মন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের সদস্য মীনা কুমারীর। মেয়েদের সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, মেয়েরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা বলে। এজন্য ওদের মোবাইল দেওয়া উচিত নয়। মীনা কুমারী আরও বলেছেন, মেয়েরা বিগড়ে গেলে সেজন্য সম্পূর্ণ দায়ী তাদের মা।
উল্লেখ্য, বুধবার আলিগড়ে গিয়েছিলেন মীনা কুমারী। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন। মীনা কুমারী বলেন, সমাজে মহিলাদের ওপর ক্রমবর্দ্ধমান অপরাধের ঘটনা নিয়ে সমাজকে ভাবনাচিন্তা করতে হবে। এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে মোবাইল একটা সমস্যার কারণ হয়ে উঠছে। মেয়েরা মোবাইলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলে। ছেলেদের সঙ্গে ওঠা-বসা করে। ওদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখা হয় না। বাড়ির লোক জানতেও পারেন না, মোবাইলে কথা বলতে বলতে কোনও ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েরা।
এরপরই তিনি মেয়েদের মোবাইল না দেওয়ার আবেদন করেন। আর মোবাইল দিলেও সেক্ষেত্রে নজরদারি চালানোর কথাও তিনি বলেন। মীনা কুমারী বলেছেন, এ ক্ষেত্রে মায়েদের দায়িত্ব বেশি। কোনও মেয়ে বিগড়ে গেলে এর দায় পুরোপুরি তার মায়ের।
রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলার পরিপ্রেক্ষিতে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ওই মন্তব্য করেন মীনা কুমারী। যদিও তাঁর মন্তব্য থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশন। কমিশনের সহ সভাপতি অঞ্জু চৌধুরী মীনা কুমারীর বক্তব্যকে একেবারে সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের ওপর অপরাধ কমাতে এটা কোনও সমাধানই নয়।
চৌধুরী বলেছেন, মেয়েদের মোবাইল না দেওয়ার কথা না বলে তাদের মোবাইলের ব্যবহার শেখানোর কথা বলতে পারতেন। বলতে পারতেন, অজানা কারুর সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, মোবাইলের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়ার কথা।
মীনা কুমারী পরে অবশ্য তাঁর বক্তব্যের সাফাই দিতে গিয়ে বলেছেন, গ্রামের মেয়েরা কীভাবে মোবাইলের সঠিক ব্যবহার করতে হয়, তা জানে না। তিনি বলেছেন, ওই মেয়েরা ফোন ব্যবহার করে ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে এবং পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আজেবাজে জিনিস দেখার ক্ষেত্রেও স্মার্টফোনের ব্যবহার করা হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার যোগ কীভাবে রয়েছে, এই প্রশ্নের উত্তরে মীনা কুমারী বলেছেন, প্রত্যেকদিনই তিনি প্রায় ২০ জন মহিলার কাছ থেকে মোবাইলে বন্ধুত্ব পাতানো ও এর পরিণতি সম্পর্কে অভিযোগ ও পাঁছ-ছয়টি ঘটনার কথা জানতে পারেন। অনেকক্ষেত্রে তরুণীদের প্রলোভন দেখিয়ে যৌননিগ্রহ করা হয়।