মার্কিন পত্রিকায় মোদির কলমে মহাত্মা, ‘জননেতা, আলোর দিশারী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক’
নরেন্দ্র মোদি তাঁর লিখনীর মাধ্যমেই গাঁধী আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান করেছেন।
নয়াদিল্লি: মহাত্মা গাঁধীর দেড়শোতম জন্ম জয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সকালে প্রথা মেনে দিল্লির রাজঘাট ও বিজয়ঘাটে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। সন্ধ্যায় গুজরাতের সবরমতী আশ্রমে মহাত্মার মূর্তিতে মাল্যদান ও প্রণাম। সোশ্যাল বার্তার সঙ্গেই এদিন দেশব্যাপী প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যাদি বর্জনের আহ্বান করেছেন তিনি। লিখেছেন উত্তর সম্পাদকীয়ও। সেই লেখা প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার প্রথম সারির সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে। সেখানে মহাত্মাকে ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং আলোর দিশারী’ বলে নিজের মত ব্যক্ত করেছেন মোদি।
Paid tributes to respected Bapu at Sabarmati Ashram in Ahmedabad. #GandhiJayanti pic.twitter.com/pb6AGdSQTC
— Narendra Modi (@narendramodi) October 2, 2019
ডঃ মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের ভারত সফর সহ গাঁধী প্রসঙ্গে নেলসন ম্যান্ডেলার একাধিক উক্তি ও ভাবনার কথা উল্লেখ করে দীর্ঘ নিবন্ধ লিখেছেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর লেখার শিরোনাম হল, ‘হোয়াই ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড নিড গাঁধী’। ভারত এবং বিশ্বের কেন গাঁধীকে প্রয়োজন, এই শিরোনাম বিশিষ্ট লেখায় নরেন্দ্র মোদি তুলে ধরেছেন গাঁধী মহাত্মের কথা। জাতির জনককে নিয়ে লিখতে গিয়ে মোদি লিখেছেন, ‘বৈষ্ণব জন তু’, যার অর্থ, যিনি মানুষকে দুর্বিপাক থেকে উদ্ধার করেন এবং তাঁর কোনও অহংবোধ নেই। মহাত্মা গাঁধী ছিলেন এমনই মানুষ।
চরকা ও খাদির উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “আর কে আছে এমন, যিনি চরকা, খাদি ও স্বদেশী বস্ত্রের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি এবং ক্ষমতায়নকে চিহ্নিত করেছেন” গাঁধী কখনও ক্ষমতালোভী ছিলেন না। ১৯৩০ সালে ডান্ডি যাত্রা করে লবণ আইনের বিরোধীতা করেছিলেন মহাত্মা গাঁধী। তিনি দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন এবং সারা জীবন জনস্বার্থে কাজ করেছেন। দীর্ঘ লেখায় এমন একাধিক প্রসঙ্গের সঙ্গেই মোদি উল্লেখ করেন, গাঁধীর কাছে স্বাধীনতা মানে কেবল শাসকের থেকে মুক্তি ছিল না। রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন তিনি। নরেন্দ্র মোদি তাঁর লিখনীর মাধ্যমেই গাঁধী আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান করেছেন।