Nikki Murder Case: খুনকে পথ দুর্ঘটনা বলে চালানোর ছক ছিল সাহিলের, নিক্কি-হত্যাতদন্তে নয়া দাবি দিল্লি পুলিশের
Accused Sahil Gehlot Makes Sensational Claims:নিক্কি যাদব হত্যা-রহস্যে নতুন মোড়! তরুণীর খুনকে পথ দুর্ঘটনা বলে দেখানোর ছক কষেছিল অভিযুক্ত তথা মৃতের লিভ-ইন পার্টনার সাহিল গহলৌত, জেরায় জানাল সে।
নয়াদিল্লি: নিক্কি যাদব হত্যা-রহস্যে (Nikki Murder Case) নতুন মোড়! তরুণীর খুনকে (Murder) পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) বলে দেখানোর ছক (Conspiracy) কষেছিল অভিযুক্ত তথা মৃতের লিভ-ইন পার্টনার সাহিল গহলৌত (Sahil Gehlot), জেরায় জানাল সে। শুধু তাই নয়। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সাহিলের পরিকল্পনা ছিল চলন্ত গাড়ি থেকে তরুণীকে ধাক্কা মেরে শেষ করবে। কিন্তু সেই ছক চৌপাট হয়ে যায়। নিগমবোধ ঘাটেই নিক্কিকে খুন করে সাহিল, দাবি পুলিশের।
আর যা...
গত শুক্রবারই দিল্লির দ্বারকা কোর্ট সাহিল-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে দুদিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছিল। সেই হিসেবে আজ ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সাহিলের পাশাপাশি তার বাবাকেও ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। সূত্রের খবর, জেরার সময়ও নিজের কৃতকর্মের জন্য একচুল অনুতাপ দেখা যায়নি মূল অভিযুক্তের বাবা বীরেন্দ্র গহলৌতের মধ্যে। লক্ষণীয় বিষয়, বীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ নতুন নয়। তবে এই ঘটনায় সাহিলের বাবার ভূমিকা সম্পর্ক প্রাথমিক ভাবে পুলিশ যা জেনেছে তা চমকে ওঠার মতো। প্রৌঢ় জানিয়েছেন, যেনতেনপ্রকারেণ নিক্কিকে রাস্তা থেকে সরাতেই হতো। তাই ছেলেকে সাহায্য করেছেন তিনি। সাহিলের পরিবারের আর এক সদস্য, নবীনও এতে জড়িত। সম্পর্কে সাহিলের তুতো ভাই নবীন। নিক্কিকে খুনের পর প্রথম এই নবীনকেই ফোন করেছিল সাহিল, দাবি পুলিশের।
কী ঘটেছিল?
গত কাল এই ঘটনায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য় সামনে আসে। জানা যায়, নিক্কি যাদব ও সাহিল গহলৌত শুধু লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন না। বছর তিনেক আগে বিয়েও করেছিলেন দুজনে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বছর তিনেক আগে একটি মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন বলে তদন্তে নেমে জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু সেই বিয়ের কথা ওই দুজন নিজেদের বাড়িতে জানাননি। সূত্রের খবর, প্রথমে ওই দুইজন তাঁদের বাড়িতে বিয়ের কথা জানাননি। পরে বিয়ের কথা জানতে পারে সাহিলের পরিবার। জানার পরেই তার চরম বিরোধিতা করে সাহিলের পরিবার। তারপরেই অন্য কারও সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। তার থেকেই সাহিল ও নিক্কির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলার কারণেই এমন ঘটনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি বচসার পরে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সাহিলের বিরুদ্ধে। তারপরে নিক্কির নিথর শরীর ঘরের ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল সাহিল, অভিযোগ এমনটাই।
আরও পড়ুন:'বাফটা'র দৌড়ে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ, 'অল দ্যাট ব্রিদস'কে পিছনে ফেলল 'নাভালনি'