Adhir Ranjan Suspended : ‘অভব্য আচরণ’, লোকসভা থেকে সাসপেন্ড অধীর, জরুরি বৈঠক ডাকলেন সনিয়া
Adhir Ranjan Chowdhury suspended : বৃহস্পতিবার, অনাস্থা বিতর্কে ‘অসংসদীয় আচরণ’-এর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে।
নয়া দিল্লি : লোকসভায় সাসপেন্ডেড অধীর চৌধুরী। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি বৈঠক ডাকলেন সনিয়া গাঁধী ( Sonia Gandhi ) । অন্য়ের বক্তব্য়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury ) বৃহস্পতিবার সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এনিয়ে আলোচনার জন্য় শুক্রবার সকালে বৈঠক ডেকেছেন সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে সেই বৈঠকে।
বৃহস্পতিবার, অনাস্থা বিতর্কে ‘অসংসদীয় আচরণ’-এর অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় কংগ্রেস সাংসদকে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় বলতে উঠে মণিপুরের ঘটনাকে ‘গৃহযুদ্ধের’ সঙ্গে তুলনা করেন অধীর চৌধুরী । প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর অসংসদীয় আচরণের জন্য তাঁকে অনির্দিষ্টকাল সাসপেন্ড করা হয়।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বৃহস্পতিবার চৌধুরীকে সাসপেন্ড করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এরপরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। যদিও অধীর চৌধুরী দাবি করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অপমান করেননি।
অধীর চৌধুরী তার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অপমান করতে চাননি। তাঁর দাবি, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া না দেওয়ার বিষয়টি বোঝাতে তিনি "নীরব" শব্দটি ব্যবহার করেছেন। নীরব শব্দ ব্যবহার করার উদ্দেশ্য অপমান করা নয়।
কী বলেছিলেন অধীর ?
অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বলতে উঠে বৃহস্পতিবার বাছাই করা শব্দে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণে বিধ্বস্ত করেন অধীর চৌধুরী। l তিনি বলেন, ধৃতরাষ্ট্র যখন অন্ধ ছিলেন, তখন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হয়েছিল। আজও রাজা অন্ধ হয়ে বসে। কারওর নাম বলিনি আমি। যেখানে রাজা অন্ধ হয়ে বসে থাকেন, সেখানে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ, সেটা হস্তিনাপুরেই হোক বা মণিপুরই হোক। হস্তিনাপুর আর মণিপুরের মধ্যে তখন কোনও ফারাক থাকে না।
বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর জবাবি আলোচনার শুরুতেই নাম না করে কার্যত বঙ্গ রাজনীতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন নরেন্দ্র মোদি! কৌশলে টেনে আনলেন বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেস-তৃণমূলের এক মঞ্চে আসার প্রসঙ্গ এবং বাংলায় অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকারের তীব্র বিরোধিতার কথা! কিছু না বলেও খুঁচিয়ে দিলেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্য়ে অস্বস্তিকর সম্পর্কের জল্পনা। জবাবি ভাষণের শুরুতেই অধীর চৌধুরীর প্রসঙ্গ তোলেন নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন, তাঁকে দিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্ক শুরুটা কংগ্রেস করাল না সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এবার সনিয়া গাঁধীর বৈঠকে কী আলোচনা হবে, সেই দিকেই নজর সকলের।
আরও পড়ুন :
ব্যালটের পর তৃণমূলের পেটে সার্টিফিকেট? বিজেপির প্রধানের জয়ী সার্টিফিকেটই খেয়ে ফেলার অভিযোগ !