Afghanistan Crisis : আফগানিস্তানে বেশি দিন তালিবান-রাজ চলবে না, দাবি স্ব-ঘোষিত কার্যকরী প্রেসিডেন্টের
আফগানিস্তানে বেশি দিন শাসন করতে পারবে না তালিবানরা। এমনই মন্তব্য করলেন পূর্বতন আফগানিস্তান সরকারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্ব-ঘোষিত কার্যকরী প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ।
কাবুল(আফগানিস্তান) : আফগানিস্তানে বেশি দিন শাসন করতে পারবে না তালিবানরা। এমনই মন্তব্য করলেন পূর্বতন আফগানিস্তান সরকারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ও স্ব-ঘোষিত কার্যকরী প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ।
ইউরো নিউজ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তালিবানের আইন হচ্ছে ইসলামিক স্টেট। যা আফগানিস্তানের মানুষ গ্রহণ করে না। এছাড়া এক গোষ্ঠী নেতা নির্বাচন করবে, সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। আফগানিস্তানে বেশিদিন তালিবান-রাজ চলবে না। তালিবানদের অভ্যন্তরীণ বা বহির্মুখী কোনও আইন নেই। শীঘ্রই ওরা গভীর সামরিক সংকটের মুখে পড়বে।
তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় আফগানিস্তান সরকারের হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল ? কারণ, তার পরই শক্তি বৃদ্ধি করে তালিবানরা। এপ্রসঙ্গে আমরুল্লা সালেহ বলেন, আমি নিঁখুত মানুষ নই। কিন্তু, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি ওই সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে নিষেধ করতে পারি না।
এদিকে ফের কাবুল বিমানবন্দরে হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দাবি, তাঁর নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি জঙ্গি হামলা হতে পারে। সেই কারণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, দ্বিতীয়বার জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর চত্বর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। বৃহস্পতিবার কাবুলে জঙ্গি হামলার পর, ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রত্যাঘাত করে আমেরিকা। আফগানিস্তানের নানগড়হর প্রদেশে মার্কিন ড্রোন হামলায় কাবুল হামলার মূল চক্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে তারা দাবি করে। পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় এরপরই সতর্কতা জারি করে মার্কিন প্রশাসন
দ্বিতীয় জঙ্গি হামলার আশঙ্কার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে আটকে রয়েছেন কুড়ি জনেরও বেশি ভারতীয়। সূত্রের খবর, নাশকতার সতর্কবার্তা জারি থাকায় এই মুহূর্তে কাবুলে পাঠানো যাচ্ছে না ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে কাবুলে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। খবর সূত্রের। তবে ৩১ অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ডেডলাইন থাকায় আমেরিকা মার্কিন নাগরিকদেরই অগ্রাধিকার দেবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।