আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স কখনই মেধার বিকল্প হতে পারবে না ,মত মুকেশ অম্বানির
প্রথম সারির ডিজিটাল সমাজে পরিণত হওয়ার জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে ভারতের, মনে করেন রিলায়েন্স কর্ণধার
নয়াদিল্লি: আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) কখনওই মানব মেধার বিকল্প হতে পারে না, পারবেও না। এমনটাই মনে করেন শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী। তাঁর মতে, মানব মেধার উপর ভিত্তি করেই ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তাতে সহযোগিতা করবে এআই।
রেসপন্সিবল এআই ফর সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট সামিট (আরএআইএসই) ২০২০-তে মুকেশ বলেছেন, ’’আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য প্রযুক্তি ভারত এবং বিশ্বের সামনে থাকা জটিল সমস্যাগুলির সমাধান করবে। আমাদের ক্ষমতাকে আরও বেশি করে প্রসারিত করবে। ভারতের অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।‘‘
রিলায়েন্স গোষ্ঠীর কর্ণধারের মতে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন, তা পূরণে এআই-র উল্লেখযোগ্য অবদান থাকবে। ভারতীয় কৃষির আধুনিকীকরণ এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য বিশ্ব-মানের শিক্ষা, দক্ষতার প্রশিক্ষণ এবং প্রতিভা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এআই-র সহযোগিতা প্রয়োজন।
’’প্রথম সারির ডিজিটাল সমাজে পরিণত হওয়ার জন্য সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে ভারতের। যা ’বিস্ফোরক এবং তাৎপর্যপূর্ণ হারে‘ ডেটা উৎপন্ন করবে। এআইয়ের জন্য কাঁচামাল হচ্ছে ডেটা। বুদ্ধিমান ডেটা ডিজিটাল মূলধন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ‘‘, বলেছেন অম্বানি।
মুকেশ অম্বানী বলেন, ’’অতীতে দেশ দৈহিক, আর্থিক, মানব জাতি এবং বৌদ্ধিক শক্তিকে পুঁজি করে প্রতিযোগিতায় লড়াই করেছে। কিন্তু আগামী দশকগুলিতে … দেশ ক্রমশ ডিজিটাল পুঁজিকে ভর করবে এবং প্রতিযোগিতায় সামিল হবে।‘‘ তিনি মনে করেন, ডিজিটাল পুঁজিকে ব্যবহার করে আগামী দিনে অর্থনৈতিক বিকাশ, বৃহত্তর সমৃদ্ধি, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হবে।