Air India plane crash: ভেঙে পড়ার মুহূর্তে ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, দেহ পুড়ে-গলে একাকার! জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ
ভেঙে পড়ার মুহূর্তে ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, প্লেনের কাঠামো সহ গলে গিয়েছে দেহ। চিহ্নিত করাই কঠিন।

আমদাবাদ: বৃহস্পতিবার দুপুরে আমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জনবসতি এলাকায় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমান । দাউদাউ করে আগুন লেগে যায়, জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিমানের পাইলট, কর্মী, যাত্রীদের বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। ওড়ার পর কয়েক মুহূর্ত। শেষ হয়ে যায় সবকিছুই। বিমানটি ভেঙে পড়ার সময় এতটাই তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছিল , এতটাই সাঙ্ঘাতিক বিস্ফোরণ হয়েছিল যে, দেহগুলি পুড়ে, ঝলসে, ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
কার্যত দেহ চেনার উপায়ই নেই। তাই দেহের সঙ্গে DNA ম্যাচ করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আমদাবাদের কসৌটি ভবনে। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে মৃত যাত্রীদের আত্মীয়-পরিজনেদের। ৫টি দেহ ইতিমধ্যেই আত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনাক্তকরণে সমস্যা না হওয়ায় একজনের দেহ DNA পরীক্ষা ছাড়াই তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়, তাপমাত্রা ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায়। যেখানে পড়ে বিমানটি সেখানেও প্রাণ যায় বহু মানুষের। মেডিক্যাল কলেজের সেই ক্যান্টিনে কারও সামনে ছিল তখন ভাত খাওয়ার থালা, কেউ অপেক্ষা করছিলেন দুপুরের খাবারের জন্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিমানটি ভেঙে পড়ে যেখানে, সেখানকার কুকুর ও পাখিগুলোও বাঁচেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, "বিমানে ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল, যাতে আগুনে ধরে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে বাঁচানো সম্ভবই ছিল না।"
স্থানীয়রা কয়েকজনকে উদ্ধার করে, কিন্তু...
SDRF-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীদল দল দুপুর ২ টো থেরে ২:৩০ নাগাদ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে স্থানীয় লোকেরা কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। কিন্তু উদ্ধারকারী দল পৌঁছে জীবিত কাউকে খুঁজে পায়নি। এক সিনিয়র ফায়ার অফিসার 'ইন্ডিয়া টুডে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "বিমানের ফুয়েল ট্যাঙ্ক ফেটে যাওয়ার কারণে এত ভয়াবহ আগুন লেগেছিল যে তাপমাত্রা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১০০০°C পর্যন্ত পৌঁছে যায়। কারও বাঁচার কোনও সম্ভাবনা ছিল না।"
SDRF-এর জওয়ানরা ঘটনাস্থলে PPE কিট নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। চারিদিকে ধ্বংসাবশেষ এবং পোড়া দেহ পড়ে ছিল। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে, এখনও অবধি ২৬৫টি মৃতদেহ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়।






















