Alipurduar TMC Agitation: বার্লার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের পরিকল্পনা তৃণমূলের, শাসকদলের 'মুখোশ' খোলার সিদ্ধান্ত বিজেপির
বানারহাটে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ উঠেছিল, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন জন বার্লা।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : আদিবাসী মহিলার সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে এবার বিজেপি সাংসদ জন বার্লার পদত্যাগের দাবি। এই দাবিতে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিল আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার জেলা কমিটিতে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শাসকদলের তরফে। অন্যদিকে পাল্টা অভিযুক্ত মহিলার সাক্ষাৎকারের ভিডিও-কে হাতিয়ার করে তৃণমূলের 'মুখোশ' জনসমক্ষে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে জেলা বিজেপি।
দিন কয়েক আগে বানারহাটে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লা। যে ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের অডিও শুনিয়ে বার্লার পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছিলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা(কিছুদিন আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন) সহ শাসকদলের নেতাদের একাংশ। রবিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের পর একই দাবি করেন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীও।
রবিবার দুপুরে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ে জেলা কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জন বার্লার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ইস্যুতে জেলায় কীভাবে প্রচার চালানো হবে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি চা বাগানে জন বার্লার পদত্যাগ দাবি করে অন্দোলন সংগঠিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। অভিযোগকারী মহিলার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে জন বার্লাকে ক্লিনচিট দেওয়ার ভিডিওকে হাতিয়ার করে পাল্টা আন্দোলনে নামা হবে বলে জানিয়েছে জেলা বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ সভাপতি জয়ন্ত রায় বলেন, অভিযোগকারী মহিলার বয়ানে পরিষ্কার সাংসদকে ফাঁসানো হয়েছে। মহিলা নিজে সেটা স্বীকার করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস যেখানেই আন্দোলন করবে, আমরা সেখানে সেখানে এই ভিডিও জনসমক্ষে আনব। মানুষকে জানাব, এই প্রথম আদিবাসী জনপ্রতিনিধি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের গাত্রদাহ হচ্ছে, সহ্য করতে পারছে না। তাই অপপ্রচারে নেমেছে।
সাংসদ জন বার্লা দিল্লি থেকে ফিরেই এই ব্যাপারে আরও প্রমাণ সহ আইনগত ব্যবস্থাও নেবেন বলে জানান জয়ন্ত রায়।