Amarnath Yatra 2025: ৩ জুলাই থেকে শুরু অমরনাথ যাত্রা; বাড়তি সতর্ক প্রশাসন, নিরাপত্তারক্ষীদের কবলে এলাকা
Pahalgam News Update: কিন্তু ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্যালিতে হিনদু নিধনের পর, উপত্যকার পরিস্থিতি অনেকটাই থমথমে। তবে অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে উপত্যকা।

সন্দীপ সরকার, শ্রীনগর: ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra 2025)। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এবার বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উপত্যকা। পুণ্যার্থীদের থাকার ক্যাম্প থেকে অমরনাথ পৌঁছনোর রাস্তা, জোরদার করা হয়েছে নজরদারি। সেসব কিছুই ঘুরে দেখল এবিপি আনন্দ।
বাড়তি সতর্ক প্রশাসন: প্রকৃতি এখানে যেন উজার করে দিয়েছে নিজেকে। যে দিকেই চোখ যায় শুধু বরফে ঢাকা পাহাড় আর পাহাড়। অনেক জায়গায় ঝরনার জলও জমে বরফ হয়ে গেছে। কোথাও দুর্গম পাহাড়ি পথের সঙ্গে রয়েছে সবুজ উপত্যকা। আর এরইমধ্যে রয়েছে অমরনাথের তুষারধবল শিবলিঙ্গ। একদিকে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য আর অন্যদিকে আধ্যাত্মিক টান, প্রতি বছর অমরনাথ যাত্রায় ছুটে আসেন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী। কিন্তু ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্যালিতে হিন্দু নিধনের পর, উপত্যকার পরিস্থিতি অনেকটাই থমথমে। তবে অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে দমবন্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে উপত্যকা। ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন এলাকার ব্যবসায়ীরাও।
এ বছর ৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। এবারের অমরনাথ যাত্রা চলবে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত। ইতিমধ্যে অমরনাথ যাত্রার জন্য ৩ লক্ষ পুণ্যার্থীর আবেদন জমা পড়েছে। ৩ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে রেজিস্ট্রেশন। তার আগে গোটাটাই চলছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে। যাত্রাপথের দু'ধারেই ব্যবস্থা করা হয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তার। সাধারণত অমরনাথ যাত্রার জন্য দুটি রুট রয়েছে। প্রথমটি পহেলগাঁও থেকে চন্দনওয়াড়ি হয়ে এবং দ্বিতীয়টি সোনমার্গ থেকে বালতাল হয়ে। গোটা এলাকাই এখন চলে গেছে নিরাপত্তারক্ষীদের কবলে। যাঁরা পহেলগাঁও হয়ে অমরনাথে যাবেন, তাদের জন্য প্রথম বেস ক্য়াম্প হল নুয়ান বেসক্য়াম্প। যেখানে পরপর লাইন করা হয়েছে। পুণ্য়ার্থীরা প্রত্য়েকে লাইনে দাঁড়াবেন এবং তাঁদের ব্য়ক্তিগত চেকিং হবে। তাঁদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র চেকিং হবে। প্রথম পরীক্ষা এই জায়গাতে। পারমিট চেক এবং যা সরঞ্জাম রয়েছে তা চেক করা হবে।পুণ্যার্থীদের থাকার জন্য তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক হ্যাঙার। এক একটা হ্য়াঙারের নীচে ৫০টি রুম। তিনটে হ্য়াঙারে ১৫০টি রুম। ৪ নম্বর আরও বড়, সেখানে থাকবে ডরমিটারি। পুরো চত্বরটা ঘিরে থাকবে ২ মানুষ উঁচু পাঁচিল।
সোনমার্গ থেকে বালতাল যাওয়ার যে রাস্তা, তার ধার ঘেঁষেই তৈরি হচ্ছে জোজিলা টানেল। ১৪ কিলোমিটার লম্বা এই টানেলটি নির্মাণের কাজ শেষ হলে, এটিই হবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় টানেল। নিউ অস্ট্রিয়ান টানেলিং পদ্ধতিতে তৈরি হওয়া এই টানেলে থাকছে সিসিটিভি, রেডিও নিয়ন্ত্রণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং হাওয়া চলাচলের মতো সুবিধা। ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এই জোজিলা টানেল। এই টানেলটি হয়ে যাওয়ার পর, যে জোজিলা পাস পেরোতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগত, সেটাই যাওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে।






















