লকডাউনে বন্ধ পরিবহণ, জয়পুর থেকে বিহারে হেঁটে ১৪ শ্রমিক
সম্বল মাত্র ২ হাজার টাকা, ১০০০ কিমি রাস্তা পেরিয়ে জয়পুর থেকে বিহারে ফিরলেন ওঁরা
পটনা: গত মাসে জয়পুরের একটি কোল্ড স্টোরেজে কাজ পেয়েছিলেন সুধীর কুমার সহ ১৪ জন বিহারের বাসিন্দা। সেখানে তাঁরা বড়জোর ২৫ দিন কাজ করেছিলেন। তারপরই করোনা উপদ্রবের জেরে গত ২১ তারিখ রাজ্যে লকডাউন করার নির্দেশ জারি করে রাজস্থান সরকার। বন্ধ হয়ে যায় কোল্ড স্টোরেজ, রাজস্থানের যাবতীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। কোল্ড স্টোরেজের মালিক সুধীরদের হাতে ২ হাজার টাকা দিয়ে বলে বাড়ি চলে যেতে। এর মধ্যেই কেন্দ্রও গোটা দেশে লক ডাউনের নির্দেশ জারি করে। সুধীর জানান, জয়পুরে কার্ফু পরিস্থিতি তৈরি হয়। সব কিছু স্তব্ধ হয়ে যায়। যানবাহন থেকে শুরু করে জনজীবন থমকে যায়। রেলও জানিয়ে দেয়, কোনও যাত্রীট্রেন চলবে না। অন্যদিকে, বাস নেই। অন্য কোনও পরিবহণও অমিল ছিল। মহা ফাঁপরে পড়েন সুধীররা। কিন্তু, সেখানে থাকারও কোনও উপায় নেই। ফলে বাধ্য হয়ে হাঁটা শুরু করেন ১৪ জন। সুধীর জানান, জয়পুর থেকে আগরা হয়ে লখনউ পৌঁছতে কী প্রচণ্ড বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁদের। রাস্তার ধারে অধিকাংশ ধাবা বন্ধ। তিনি বলেন, যা পেয়েছি, তাই খেয়েছি। রাতে কোনওমতে হোটেলে থেকে ফের পরের দিন ভোরবেলা রওনা দিতাম। দূরত্বও নেহাত কম নয়। জয়পুর থেকে বিহার প্রায় এক হাজার কিলোমিটারের বেশি। পাঁচদিন হাঁটার পর তাঁরা পৌঁছন উত্তরপ্রদেশে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়েছিলেন বিহারের ৪৫ জন। ঔরঙ্গাবাদে ফেরার পর সতর্কতামূলক হিসেবে তাঁদের একটি প্রাথমিক স্কুলে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়। একইভাবে, মিঠাপুর বাসডিপোয় কয়েকদিন ধরে আটকে পড়েন প্রায় ২০০ জন শ্রমিক। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এরপর তাঁরা সেখান থেকে হাঁটতে শুরু করেন। গন্তব্য, উত্তর বিহার।