Amul: রাজ্য সমবায় থাকতে Amul কেন! গুজরাতি পণ্য চাপানোর অভিযোগ, গণভোটের দাবিতে কর্নাটকে অস্বস্তিতে BJP
Nandini Milk: বিতর্কের সূত্রপাত একটি বিজ্ঞাপনী ঘোষণাকে ঘিরে, যাতে গুজরাতের দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রী সংস্থা Amul জানায়, অনলাইন অর্ডার পেলে এ বার থেকে বেঙ্গালুরুতে সামগ্রী সরবরাহ করবে তারা।
বেঙ্গালুরু: একটি মাত্র ঘোষণা, আর তাকে ঘিরেই উত্তাল ভোটমুখী কর্নাটক। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগের পর এ বার রাজ্যে গুজরাতের পণ্য় চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে (Amul)। পরিস্থিতি এতটাই তেতে উঠেছে যে, দাবি উঠছে গণভোট করানোরও। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Assembly Elections 2023) আগে স্বভাবতই তাতে বিপাকে পড়েছে বিজেপি (BJP)।
বিতর্কের সূত্রপাত একটি বিজ্ঞাপনী ঘোষণাকে ঘিরে, যাতে গুজরাতের দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রী সংস্থা Amul জানায়, অনলাইন অর্ডার পেলে এ বার থেকে বেঙ্গালুরুতেই দুধ এবং দুগ্ধজাত সামগ্রী সরবরাহ করবে তারা। কর্নাটকে নিজস্ব দুগ্ধ সমবায় রয়েছে, কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন (KMF)। সেই সংস্থার ব্র্যান্ডের নাম 'নন্দিনী' (Nandini Milk)। এই 'নন্দিনী' ব্র্যান্ডের দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যই রাজ্যে জনপ্রিয়। তাই গুজরাতের আনন্দ মিল্ক ইউনিয়ন লিমিটেড (Amul)-এর পণ্য কর্নাটকবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ওঠে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, কর্নাটক দুগ্ধ সমবায় এবং গুজরাত দুগ্ধ সমবায় মিশে যেতে চলেছে বলেও শোনা যায়। এই তত্ত্ব আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে। 'নন্দিনী'র সঙ্গে যুক্ত দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা এই সম্ভাবনার তীব্র বিরোধিতা করেন। কর্নাটকের নিজস্ব পরিচিতি মুছে, গুজরাতি পণ্য চাপিয়ে দিতেই বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এবং জনতা দল (সেক্যুলার/ JDS)-ও সুর চড়াতে শুরু করে।
কংগ্রেস এবং JD(S)-এর তরফে সরাসরি আক্রমণের ঝাঁঝ গিয়ে পড়ে অমিত শাহের উপর, যিনি কো-অপারেশন মন্ত্রী এবং গুজরাতের ভূমিপুত্র। গুজরাতে পণ্য চাপিয়ে দেওয়া আদৌ যুক্তিযুক্ত কিনা জানতে, কর্নাটকে গণভোট করানোর দাবি করা হয় তাঁর কাছে। দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে Amul-এর প্রবেশ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় দুগ্ধ ব্যবসায়ীরা।
এই ঘটনার আঁচ পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সেখানে #GoBackAmul, #SaveNandini ট্রেন্ড করছে। কর্নাচকের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, একমাত্র 'নন্দিনী' ব্র্যান্ডের পণ্যই কিনবে তারা, যাতে রাজ্যের দুগ্ধ ব্যবসায়ী এবং গোয়ালারা উপকৃত হন। শুধু তাই নয়, Amul-এর যাবতীয় পণ্য বয়কটের ডাকও উঠেছে।
কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও গুজরাতের ভূমিপুত্র। শাহও তাই। দুই রাজ্যের সমবায়কে মিলিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা যেহেতু ব্য়র্থ হয়েছে, তাই পিছনের দরজা দিয়ে গুজরাতের পণ্য়কে কর্নাটকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও Amul নিয়ে কোনও ধরনের রাজনীতি কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন কর্নাটকে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। JDS অবিলম্বে তাঁর হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। তাদের দাবি, Amul-এর চেয়ে 'নন্দিনী'র পণ্যের গুণমান ঢের ভাল।