Anubrata Mondal:গরুপাচার মামলায় আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের
Judicial Custody For Judicial Custody:গরুপাচার মামলায় আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির। ১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের।
কলকাতা: গরুপাচার (Cattle Smuggling) মামলায় আপাতত তিহাড় (Tihar Jail) জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল বীরভূমের (Birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতির। ১ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের (delhi । পাশাপাশি তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট (Delhi Rouse Avenue Court)। এদিকে এপ্রিলের গোড়াতেই জানা যায়, দিল্লি হাইকোর্টে অন্তত মাসচারেক বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। ইডির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক মাসের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীকে নিজেদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই।
প্রেক্ষাপট...
বিস্তর আইনি টানাপড়েনের পর গত দোলপূর্ণিমার দিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে রাজধানী উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর, দিল্লিতে দিল্লিতে দফায় দফায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রত নগদে কোটি কোটি টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন বলে আগেই দাবি করেছিল ইডি। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছে তারা, যার প্রতিলিপি এসে পৌঁছয় এবিপি আনন্দের হাতে। বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের ১০ থেকে ১৭-র মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। বোলপুরের কালিকাপুর মৌজায় নগদে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কেনা হয়। শুধু সম্পত্তি কেনাই নয়, ২৫ লক্ষ টাকার জমির বাজারমূল্য ৮ লক্ষ দেখানো হয় বলেও দাবি ইডি-র। স্ত্রী ছবি মণ্ডল, মেয়ে সুকন্যামণ্ডল, ভোলে ব্যোম চালকল এবং নিজের নামেও অনুব্রত সম্পত্তি কেনেন বলে দাবি ইডি-র। সূত্রের আরও খবর, ২০১৬ সালে নিজের নামে দেড় কোটি টাকার সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। ইডি-র দাবি, বাজারের দামের থেকে ডিড ভ্যালু কম দেখানো হয়েছে কেনাবেচায়। ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তিকে ৮ লক্ষ টাকার বলে দেখানো হয়েছে, খবর ইডি সূত্রে। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে এল, তা নাকি বলতে পারেননি অনুব্রত! বরং তিনি জানিয়েছিলেন, টাকা কোথা থেকে এল মনে নেই তাঁর! ইডি সূত্রে জানা যায়, অনুব্রত তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। তাতে অসন্তুষ্ট তদন্তকারীরা। আসানসোল জেলেও এর আগে অনুব্রত একই আচরণ দেখিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চায় ইডি। কয়েক বছরের মধ্যে কী ভাবে রকেটের গতিতে অনুব্রতর সম্পত্তি বেড়েছে, টাকা কোথা থেকে এসেছে, রাজনৈতিক নেতা অনুব্রতর রোজগারই বা কী, এসবও খতিয়ে দেখার পর্ব শুরু হয়।
আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের স্বস্তির মধ্যেই অভিষেককে নোটিস ধরাল সিবিআই