Abhishek Banerjee:সুপ্রিম কোর্টের স্বস্তির মধ্যেই অভিষেককে নোটিস ধরাল সিবিআই
CBI Sends Notice:সুপ্রিম কোর্টের স্বস্তির মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস ধরাল সিবিআই। আগামীকাল সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
আশাবুল হোসেন, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্বস্তির মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নোটিস (Notice) ধরাল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
কী করবেন অভিষেক?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এই নোটিসে সুপ্রিম কোর্টের অবমাননা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এদিন যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তার পর এই নোটিসের মানে কী, প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবীরা। আপাতত যা খবর, তাতে কাল সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত এদিন সকাল ১০.৩০টাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আর দুপুর ১.৪৫-এই নোটিস জারি করে সিবিআই। স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও এই নোটিস কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী, দাবি অভিষেকের পক্ষের আইনজীবীর। এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিষেক, খবর সূত্রের।
এদিন সকালে যা হল...
সোমবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে খুব দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সিবিআই ও ইডি-র দু'জনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।অভিষেকের গত ২৯ মার্চের সভায় রাখা বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের বয়ানের সাযুজ্য আছে বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের নিম্ন আদালতে ও হেস্টিংস থানায় চিঠি দিয়েছিলেন। অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাতে। সেই প্রসঙ্গেই গত বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য কেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। সম্প্রতি কলকাতার শহিদ মিনারের সভা থেকে সিবিআই-ইডিকে নিয়ে মুখ খোলেন অভিষেক। জানান, সারদার সময় মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যাতে তাঁর নাম বলানো যায়। এর পরই কুন্তল দাবি করেন, তাঁকেও অভিষেকের নাম নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নিম্ন আদালত এবং পুলিশের কাছে সেই আবেদনে চিঠিও দেন। সেই প্রেক্ষিতেই অভিষেকের নাম শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "ইডি-সিবিআই দুর্নীতির কোমর অবধি পৌঁছেছে, হৃদয় এবং মাথা পর্যন্ত পৌঁছানো এখনও বাকি আছে। আপনারা সময় নষ্ট করছেন, দ্রুত করুন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন কেন? আসল টাকাটা কোথায় গেল ? সেটাই তো খুঁজে বের করতে হবে। কী করছে সিবিআই-ইডি?"