Asaram Bapu: ধর্ষক আসারাম বাপুকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, সবে প্যারোলে ছুটি কাটিয়ে ফিরেছিলেন
Asaram Bapu Gets Bail: মঙ্গলবার আসারামের জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়েছে আদালতে।
নয়াদিল্লি: ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেই আসারাম বাপুকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্বাস্থ্যজনিত কারণে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। জেল থেকে বেরিয়ে আসারাম যাতে প্রমাণ নষ্ট করতে উদ্যত না হন, অনুগামীদের সঙ্গে সাক্ষাতে সচেষ্ট না হন, সেই নিয়ে সতর্কও করা হয়েছে। আরও একটি ধর্ষণের মামলাতেও জামিনের আর্জি জানিয়েছেন আসারাম। সেটি এখনও মঞ্জুর হয়নি। (Asaram Bapu)
মঙ্গলবার আসারামের জামিনের আর্জি মঞ্জুর হয়েছে আদালতে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি এমএম সুরেশ এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। ৮৩ বছর বয়সি আসারাম স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। হৃদরোগের সমস্যা রয়েইছে, পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত অসুস্থাতেও তিনি ভুগছেন বলে জানান। এই মুহূর্তে জোধপুরের জেলে রয়েছেন আসারাম। সেখানে আরোগ্য মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাও চলছে তাঁর। (Asaram Bapu Gets Bail)
স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম আগে হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছেন। তাঁকে জামিন দিয়ে আদালত জানায়, যতদিন জামিনে মুক্ত থাকবেন আসারাম, তাঁর সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের মজুত থাকতে হবে। নজরদারিতে রাখতে হবে আসারামকে। হাসপাতালে আসারামের চিকিৎসা চলাকালীনও পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে। তবে কোন হাসপাতালে চিকিৎসা হবে আসারামের, এখনও তা জানা যায়নি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্যারোলে বাইরে থাকার পর ১ জানুয়ারিই জোধপুর জেলে ফিরেছিলেন আসারাম। মোট ১৭ দিনের প্যারোলে বেরিয়েছিলেন বাইরে। যাত্রার জন্য বাড়তি দু'দিন বরাদ্দ হয়েছিল। গত ১৮ ডিসেম্বর প্যারোলের আর্জি মঞ্জুর করা হয়েছিল। গতবছর পুণেতে চিকিৎসা হয় আসারামের। জোধপুর AIIMS-এও ভর্তি হয়েছিলেন।
পাশাপাশি, গত বছর অগাস্ট মাসেই চিকিৎসার প্রয়োজন দেখিয়ে প্যারোল আদায় করে নিয়েছিলেন আসারাম। সেবার রাজস্থান হাইকোর্ট তাঁকে সাতদিনেরপ প্যারোলে বাইরে বেরনোর অনুমতি দেয়। আসারামের দাবি ছিল, তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছে। ১১ বছর ইতিমধ্যেই জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। হৃদরোগে আক্রান্তও হয়েছেন আগে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বুকে ব্যথা হওয়ায় AIIMS-এ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
২০১৩ সালে জোধপুরের আশ্রমে এক স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করেন আসারাম। ওই বছরই গুজরাতের গাঁধীনগরের আশ্রমে আর এক মহিলাকে তিনি ধর্ষণ করেন। নাবালিকা ধর্ষণে যাবজ্জীবনের সাজা হয়েছে তাঁর। তাঁর দুই সহযোগীকেও ২০ বছর করে কারাবাসের সাজা শোনানো হয়। মহিলাকে ধর্ষণেও দোষী সাব্যস্ত হন আসারাম। সাজা মকুবের জন্য আবেদনও জানান আসারাম।