Ram Mandir Consecration Ceremony : প্রাণপ্রতিষ্ঠা ২২শে জানুয়ারি, আজ থেকে অযোধ্যায় শুরু পূজন বিধি, জেনে নিন সম্পূর্ণ পুজো-সূচি
Ram Mandir Consecration Ceremony : রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা ২২শে জানুয়ারি। তার আগে আজ থেকে অযোধ্যায় শুরু পূজন বিধি।
নয়াদিল্লি : অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার ( Deity of Bhagwan Shri Ram Lalla )প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। সেদিন পঞ্জিকা মতে, পৌষ কুর্ম দ্বাদশী তিথি। কী কী রীতি পালন হচ্ছে আজ থেকে, তা ট্যুইট করে জানাল Shri Ram Janmbhoomi Teerth Kshetra। শ্রী রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সরযূ নদীর তীরে 'দশবিধ' স্নান, বিষ্ণু পুজো এবং গোমাতার উদ্দেশে নৈবেদ্য প্রদান করা হবে। আগামীকাল রামলালার বাল্যকালের মূর্তি নিয়ে অযোধ্যায় বের করা হবে শোভাযাত্রা। মঙ্গল কলসে করে সরযূর জল মন্দিরে নিয়ে আসবেন ভক্তরা। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে নানারকম আচার-অনুষ্ঠান।
- আধ্যাত্মিক রীতি নিয়ম ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের কাজকর্ম (Scriptural Protocols and Pre-Ceremony Rituals) : রামলাল্লা প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে অভিজিৎ মুহূর্তে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু প্রাণ প্রতিষ্ঠার পূর্বের ক্রিয়াকর্ম সূচনা হচ্ছে। ২১ জানুয়ারি অবধি চলবে নানা বিধিতে পুজো। পালিত হবে দ্বাদশ অধিবাস। কোনদিন কী রীতি তার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে মন্দিরের তরফে।
- ১৬ জানুয়ারি: প্রয়াসচিতা এবং কর্মকুটি পুজো
- ১৭ জানুয়ারি: মূর্তি পরিসর প্রবেশ
- ১৮ জানুয়ারি সন্ধেয়: তীর্থ পুজো ও জলযাত্রা, গন্ধাধিবাস
- ১৯ জানুয়ারি সকালে পালিত হবে আষাঢ়াধিবাস,কেশরাধিবাস, ঘৃতাধিবাস। আর সেদিন সন্ধেবেলাতেই হবে ধান্যধিবাস।
- ২০ জানুয়ারি সকালে অনুষ্ঠিত হবে শর্করাধিবাস, ফলাধিবাস
- ২০ জানুয়ারি সন্ধেয় হবে পুষ্পাধিবাস
- ২১ জানুয়ারি সকালে হবে মধ্যাধিবাস । আর সেদিনই সন্ধেই হবে শৈয়াধিবাস
-
অধিবাসের রীতি ও আচার: সাধারণত, প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে সাতটি অধিবাস রীতি থাকে। ন্যূনতম তিনটি অধিবাস পালন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ১২১ জন আচার্য। শ্রী গণেশ্বর শাস্ত্রী দ্রাবিড় অনুষ্ঠানের সমস্ত কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবেন। প্রধান আচার্য হবেন কাশীর শ্রী লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত।
-
বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী , রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন পটেলের উপস্থিতিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন।
-
যে সব অতিথিরা হাজির থাকবেন : ভারতীয় আধ্যাত্মবাদের সব ধারার আচার্যরা যেমন সেদিন হাজির থাকবেন, তেমনই বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায়, উপাসনা পদ্ধতি, ঐতিহ্যের প্রতিনিধিরা হাজির থাকবেন এই মহা অনুষ্ঠানে। ১৫০ টিরও বেশি ধারার প্রধানরা উপস্থিত হবে। ১৫০ টিরও বেশি ধারার সন্তরা উপস্থিত থাকবেন সেদিন। এছাড়াও থাকবেন ৫০ টিরও বেশি আদিবাসী, গিরিবাসি, তাতাবাসী, দ্বীপবাসী উপজাতি ঐতিহ্যের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।
- এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ভারতির পাহাড়, অরণ্য, উপকূলীয় অঞ্চল, দ্বীপাঞ্চলের বহু উপজাতির মানুষ। Shri Ram Janmbhoomi Teerth Kshetra এর দাবি, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন বৈচিত্রপূর্ণ সমাগত ঘটেনি। এটি হবে অনন্য।
- শৈব, বৈষ্ণব, শাক্ত, গণপত্য, পত্য, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, দশনাম, শঙ্কর, রামানন্দ, রামানুজ, নিম্বারকা, মাধব, বিষ্ণু নামি, রামসানেহি, ঘীসাপন্থ, গরীবদাসী, গৌড়ীয়,কবীরপন্থী, বাল্মীকি, শঙ্করদেব (অসম), মাধবদেব, ইসকন, রামকৃষ্ণ মিশন, চিন্ময়া মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ, গায়ত্রী পরিবার, অনুকূল চন্দ্র, ঠাকুর পরম্পরা, ওড়িশার মহিমা সমাজ, আকালি, নিরঙ্কারি, পঞ্জাবের নামধারী, রাধাসোমি, স্বামীনারায়ণ ,ভারকারি, বীর শৈব ইত্যাদি ভাবধারার অনুগামীরা হাজির থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।
- গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠানের সমাপ্তির পর যথাক্রমে সকলে দর্শন পাবেন শ্রী রাম লালার । বিভিন্ন রাজ্য থেকে মানুষ অবিরাম জল, মাটি, সোনা, রূপা, রত্ন, জামাকাপড়, গহনা, বিশাল ঘণ্টা, ড্রাম, সুগন্ধিদ্রব্য সামগ্রী ইত্যাদি পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে বিশেষ হল, নেপালের জনকপুর এবং বিহারের সীতামারহি থেকেপাঠানো উপহার। এছাড়াও রায়পুর, দণ্ডকারণ্য থেকে গয়নাম মতো দামি উপহার পাঠানো হয়।