B1617 Variant : বিশ্বে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে করোনার B1617 ভ্যারিয়েন্ট, চিন্তা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের
আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। বিশ্বে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার B1617 ভ্যারিয়েন্ট। যা নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিশেষজ্ঞদের। গবেষকরা বলছেন, যে সব দেশে টিকাকরণের হার কম, সেখানেই বেশি করে থাবা বাসাচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্ট।

সিঙ্গাপুর : আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে। বিশ্বে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার B1617 ভ্যারিয়েন্ট। যা নিয়ে ঘুম ছুটেছে বিশেষজ্ঞদের। গবেষকরা বলছেন, যে সব দেশে টিকাকরণের হার কম, সেখানেই বেশি করে থাবা বাসাচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্ট।
B1617 নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে সিঙ্গাপুরের স্ট্রেইট টাইমসে। যেখানে বলা হয়েছে, খুব দ্রুত হারে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাসের স্ট্রেন। দ্রুততার সঙ্গে নিজের বংশবৃদ্ধি করে চলেছে এই ভাইরাস । যার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়তে চলেছে বিশ্ববাসী। এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের Saw Swee Hock School-এর পাবলিক হেলথ বিভাগের প্রধান ইয়ো ইক ইং বলেন, ''এই ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টাই আসলে চিন্তার। অনেক সময় এই স্ট্রেনের সংক্রমিত ব্যক্তির সম্পর্কে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। 'কমিউনিটি স্প্রেডিং'-এর ঘটনা ঘটছে আকছার। দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে ভাইরাসে আক্রান্তকে চিহ্ণিত করে আলাদা করা যাচ্ছে না। ফলে চেইন ব্রেক হচ্ছে না।''
ইংয়ের মতে, আগামী দিনে এই ভ্যারিয়েন্ট আরও বড় মহামারী তৈরির ক্ষমতা রাখে। হয়ত অতীতে এই ধরনের মহামারী দেখেনি বিশ্ববাসী। গবেষকরা বলছেন, খুব সহজেই এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ঢুকে পড়তে পারে B1617 ভ্যারিয়েন্ট। এমনকী ভ্যাকসিনের মাধ্যমে পাওয়া রোগ প্রতিরোধক বলয়েরও ক্ষতি করতে পারে এই স্ট্রেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম ভারতে দেখা যায় এই B1617 ভ্যারিয়েন্ট। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই নিয়ে ভারতকে সতর্ক করে। যদিও ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এখন বিশ্বের ৫০টি দেশে এই করোনার স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভ্যারিয়ন্টকে বিশ্বের চিন্তার কারণ বলছে 'হু'।
গবেষকদের রিপোর্ট বলছে, ভারতে মেলা ভ্যারিয়েন্ট চিনের ইউহান শহরে আসা প্রথম কোভিড ভাইরাসের থেকে বেশি ক্ষতিকর। প্রথম ভাইরাসের দেড় থেকে ২ গুণ দ্রুত গতিতে এই ভ্যারিয়েন্ট মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে বিশ্বের বুকে B1617-এর তিনটে ভার্সন রয়েছে। B16171, B16172 ও B16173 এখন সবার কাছে চিন্তার কারণ।
তিও ইং জানিয়েছেন, B1617 ভ্যারিয়েন্ট মানব শরীরে কঠিন অসুখ ও মৃত্যুর জন্য কতটা দায়ী তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এ ক্ষেত্রে সবার জন্য হাতিয়ার হতে পারে ভ্যাকসিন। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার ,মোদেরনা , অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন B1617 ভ্যারিয়েন্ট-এর ওপর কার্যকরী।






















