Bangladesh Air Force Jet Crashed: 'প্রাইমারি ছাত্ররা সবাই পুড়ে গেছে', বাংলাদেশে বিমান দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আতঙ্কে কেঁপে উঠল ছাত্রী
Bangladesh News: জখমের সংখ্যাটা শতাধিক। যার মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে কারো কারো শরীর ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে গেছে।

ঢাকা : ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা বাংলাদেশে। ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ বিল্ডিংয়ে বিমান ভেঙে ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন ছাত্র, দুই শিক্ষক ও পাইলট তথা ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মহম্মদ তৌকির ইসলাম রয়েছেন। জখমের সংখ্যাটা শতাধিক। যার মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী। এর মধ্যে কারো কারো শরীর ভয়ঙ্করভাবে পুড়ে গেছে। তাদের কাছেপিঠের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শিহতির হয়ে উঠল এক ছাত্রী।
তার কথায়, "ওখানে কেজি, ক্লাস ওয়ান থেকে সিক্স পর্যন্ত স্টুডেন্টরা ছিল। আমার হাতে যে ছিল তার ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমার ভাগ্নি ছিল, ওর ২০ শতাংশ পুড়ে গেছে। বিমান ভেঙে পড়েছে। কিন্তু, আমাদের বিল্ডিংয়ের দিকে আসেনি। প্রাইমারি সেকশনের উপরে বিমনটা পড়েছিল। বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশটা জ্বলে গেছে। প্রাইমারি ছাত্ররা সবাই পুড়ে গেছে। ছোট বাচ্চা বেশি। আমাদের ওটা প্রাইমারি সেকশন। কিছু বাচ্চা গেটের সামনে ছিল। ছুটির সময়। তারা জানতই না। চোখের পলকে হয়ে গেছে।"
বিমান দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে একাধিক ভিডিও-ছবি সামনে আসছে। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ছাত্র পুড়ে গেছে এবং অনেকের প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর আতঙ্কে অনেকে এদিক-ওদিক দৌড়াতে শুরু করে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, যেহেতু সঙ্গে সঙ্গে কোনও অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারেনি, তাই সেনাকর্মীরা জখমদের উদ্ধারকাজে হাত লাগান। হাতে করে তুলে রিকশভ্যান এবং অন্যান্য গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে দৌড়ান তাঁরা। বাংলাদেশ বায়ুসেনা দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করলেও, কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা জানায়নি।
যে বিমানটি ভেঙে পড়েছে সেটি হল- F-7BGI, যা চিনের J-7 যুদ্ধবিমানের একটি উন্নত সংস্করণ। এদিন দুপুর ১.০৬ মিনিটে একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইটের জন্য ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি ভেঙে পড়ে। এমনই জানিয়েছেন দমকলের একজন কর্মকর্তা। দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান তিনি।
এপি-কে রফিস ত্বহা নামের এক ছাত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ২ হাজার ছাত্র-ছাত্রী আছে। একেবারে নার্সারি থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত রয়েছে সেখানে। উল্লেখ্য, বিমান দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল না এই ছাত্র। ১৬ বথরের রফিক বলে, "টিভিতে দুর্ঘটনার ভিডিও দেখে আমি ভয় পেয়ে গেছি। এটা আমার স্কুল।"
এই দুর্ঘটনা কী কারণে তা জানতে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।






















