Bangladesh Anti Quota Protests: বিদেশেও হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন-বিক্ষোভ, আমিরশাহিতে জেল হল ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিকের
Bangladeshis in UAE: সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে পথে নেমেছেন পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ।
নয়াদিল্লি: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। সেই আন্দোলনের আঁচ গিয়ে পড়েছে সুদূর সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেও। শেখ হাসিনা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সেখানেও পথে নেমেছিলেন মানুষজন। আর তার জেরে এবার শাস্তির মুখে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ৫৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিককে কারাবাসের সাজা শোনাল সংযুক্ত আরব আমিরশআহির আদালত। (Bangladesh Anti Quota Protests)
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে পথে নেমেছেন পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সংরক্ষণ নীতিতে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে, এখনও থমথমে পরিবেশ বাংলাদেশে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত অন্দোলনে অনড় সকলে। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এ নিয়ে পথে নেমেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও, তাতেই আদালত সাজা দিল তাঁদের। (Bangladeshis in UAE)
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা Wam News জানিয়েছে, হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমিরশাহিতে বিক্ষোভ দেখানোয় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে কারাবাস দিয়েছে আদালত। এর মধ্য তিন জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ৫৩ জনকে ১০ বছরের সাজা শোনানো হয়েছে। ১১ বছর সাজা হয়েছে একজনের।
আন্দোলনকারীদের আইনজীবা আদালতে জানান, ওই প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা কোনও অপরাধ ঘটাননি। অপরাধ ঘটনোর মতলবও ছিল না তাঁদের। তাঁদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণও মেলেনি। এই ঘটনায় আমিরশাহির তীব্র সমালোচনা করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য এত চরম প্রতিক্রিয়া কাম্য নয় বলে মত তাদের।
আমিরশাহিতে এমনিতে সবরকমের আন্দোলন নিষিদ্ধ। দেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ বিদেশি নাগরিক, তার মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী। তাঁরাও যাবতীয় বিধি-নিষেধ মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার জন্য কারাবাসের এই সাজা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ। প্রায় ২০০-র কাছাকাছি মানুষের মৃত্যুর খবর মিলছে, যাঁর মধ্যে রয়েছেন পড়ুয়ারাও। কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছেন। প্রায় ৫০০-র বেশি মানুষকে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। নাগরিকদের উপর হিংসা চালানোর জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের পদত্যাগ দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। দেশ থেকে কার্ফু এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিতে কেন্দ্রকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন তাঁরা।