Bangladesh News: বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী গ্রেফতার
Bangladesh Violence: অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার আগেই আটক হয়েছেন হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য। দিল্লি আসতে পারলেন না বাংলাদেশের প্রাক্তন টেলি-যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী।
Bangladesh Chaos: বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী গ্রেফতার। ঢাকা বিমানবন্দরেই হাসান মাহমুদ গ্রেফতার। দেশ ছাড়ার আগেই গ্রেফতার হাসিনা-মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রী। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ছাড়ার আগেই আটক হয়েছেন হাসিনার মন্ত্রিসভার সদস্য। দিল্লি আসতে পারলেন না বাংলাদেশের প্রাক্তন টেলি-যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। বিমানবন্দরেই প্রাক্তন মন্ত্রীকে আটকাল বাংলাদেশ সেনা। আটক হয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন টেলি-যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ২ সহযোগীকে নিয়ে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন হাসিনার মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় জুনাইদ ও তাঁর ২ সঙ্গীকে। জুনাইদ সহ ৩ জনকেই রাখা হয়েছে ইমিগ্রেশন হেফাজতে।
ঢাকায় আওয়ামি লিগের একাধিক নেতার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। সঙ্গে চলেছে ভাঙচুর, লুঠ। কুমিল্লায় আওয়ামি লিগের কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬ জনের দেহ। হামলার রেশ থেকে রেহাই পায়নি নাবালকও। কুমিল্লায় ততাস থানায় ২ পুলিশকর্মীকেও পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাশাসন জারি রয়েছে বাংলাদেশে। গতকাল থেকে আজকের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের। পুড়ে ছাই হয়েছে বাংলাদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক, সাংসদ মোর্তাজার বাড়ি। চাঁদপুরে দেবের ছবির সহ প্রযোজক সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্তকে পিটিয়ে খুন করার খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকাল রাতে শেরপুর জেল ভাঙল আন্দোলনকারীরা, ৫০০-র বেশি বন্দিকে নিয়ে উধাও হয়েছে তারা। শেরপুর জেল ভেঙে জামাত উল মুজাহিদিন, আনসারুল বাংলার ২০ জঙ্গি উধাও হয়েছে বলে খবর। চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিতে আওয়ামি লিগের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সেনাপ্রধানের আশ্বাসই সার। অশান্তি কমছেই না বাংলাদেশে। বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে প্রতিবেশী দেশ। একের পর এক আওয়ামি লিগের নেতা, মন্ত্রী, সদস্যের বাড়িতে চলছে হামলা। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি। ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে গতকালই হামলা চালিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। আজ তা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ছবি এসেছে প্রকাশ্যে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়ালও পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম। গতকাল গণভবনেও চলেছে লুঠ। হাতের সামনে যে যা পেয়েছেন নিয়ে পালিয়েছেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রায় সমস্ত মাধ্যমেই। সংসদ ভবন, শেখ হাসিনার বাসভবন থেকে ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে বাদ গেল না কিছুই। চলল ভাঙচুর, অবাধে লুঠপাট, আগুন।
আরও পড়ুন- গুগলের সর্বাধিক সার্চের তালিকা শেখ হাসিনের বাংলাদেশ ছাড়ার বিমানের গতিবিধি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।