Bangladesh News: হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' ভাষণ দেখানো যাবে না বাংলাদেশে, নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
Sheikh Hasina: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, তারা হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে।
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচারের খবর উঠে আসছে লাগাতার। সেই আবহে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন দেশত্যাগী শেখ হাসিনাও। ইউনূসকে তিনি 'গণহত্যা'র নায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। সেই নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণের মধ্যেই বাংলাদেশে হাসিনার বক্তৃতা, ভাষণ সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসল। রাজনৈতিক ভাষণ নয়, হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' ভাষণ বাংলাদেশে দেখানো যাবে না বলে এল নির্দেশ। (Bangladesh News)
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, তারা হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে। বলা হয়েছে, হাসিনার কোনও 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তৃতা সংবাদমাধ্যম বা সমাজ মাধ্যমে সম্প্রচার বা প্রচার করা যাবে না। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের BD24 সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এযাবৎ হাসিনার এমন যত বক্তৃতা রয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে সরাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ টেলি যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে। (Sheikh Hasina)
বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে হয় হাসিনাকে। সেই নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছে তাঁর নামে। আর সেই নিয়ে শুনানি চলাকালীনই হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তৃতা বাংলাদেশে না দেখানোর আবেদন জমা পড়ে। সরকারি আইনজীবী গাজি এমএইচ তামিম সংবাদমাধ্যমে বলেন, "জুলাই-অগাস্ট মাসে গণহত্যার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে যে মামলাগুলি হয়েছে, তা নিয়ে ট্রাইব্যুনালে গিয়েছিলাম। মামলার আসামি শেখ হাসিনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা করছেন। এতে মামলার সাক্ষীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এমন চললে আদালতে সাক্ষ্যদানে হাজির করাতে পারব না। তাই শেখ হাসিনার ভীতিমূলক এবং বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলাম।"
সেই মতোই হাসিনার 'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তৃতা সম্প্রচার ও প্রচারে নিষেধাজ্ঞা বসায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বিদ্বেষপূর্ণ এবং ভীতিমূলক বক্তৃতাতেই নিষেধাজ্ঞা চান তাঁরা। রাজনৈতিক বক্তৃতা প্রচারে বাধা নেই। টেলিভিশনের পাশাপাশি, ফেসবুক, X (সাবেক ট্যুইটার), ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে হাসিনার
'বিদ্বেষপূর্ণ' বক্তৃতা সরাতে ওই সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী।
বাংলাদেশ ছাড়ার পর থেকে এখনও ভারতে অজ্ঞাতস্থানেই রয়েছেন হাসিনা। সম্প্রতি আওয়ামি লিগের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বেশ কিছু বক্তৃতা পোস্ট করা হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও সেগুলি দেখানো হয়, যা ইউনূস সরকারের মনঃপুত নয় বলে জানা যাচ্ছে। সেই নিয়ে বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশনার প্রণব ভার্মার কাছে অসন্তোষও প্রকাশ করেন ইউনূসের বিদেশ বিভাগের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।