Bangladesh News: শিক্ষক আন্দোলনে তপ্ত ওপার বাংলাও, বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে হাজার হাজার শিক্ষক !
Primary Teachers Strike: বাংলাদেশের পূর্বের শহর চট্টগ্রাম, রঙ্গমতিতে এই আন্দোলন বড়সড় আকার ধারণ করেছে।

ঢাকা : দিন দিন চাপ বাড়ছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপর। শুধু সেনা ও রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর এবার চাপ বাড়াচ্ছেন শিক্ষকরাও। প্রাইমারি অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার্স ইউনিটি কাউন্সিলের তরফে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করা হয়েছে। তাতে শামিল হয়েছেন হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। 'প্রথম আলো' সূত্রের খবর, তাঁরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছেন।
ডেইলি স্টার-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ মে থেকে তাঁরা আংশিকভাবে কাজ থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু সোমবার থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের ধর্মঘট। ঢাকার সুতরাপুর, ডেমরা ও গুলশানের মতো জায়গায় শিক্ষকরা আংশিক ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। অনেক শিক্ষকই ক্লাস নিচ্ছেন, কিন্তু প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকছেন।
তবে, বাংলাদেশের পূর্বের শহর চট্টগ্রাম, রঙ্গমতিতে এই আন্দোলন বড়সড় আকার ধারণ করেছে। এইসব জায়গায় শিক্ষকরা শিক্ষাদানের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন। অন্যদিকে, রাজশাহী ও রংপুরের মতো জায়গা থেকে মিশ্র ছবি উঠে এসেছে। কেউ কেউ সারাদিন, তো কেউ কেউ আংশিক সময়ের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন। বরিশালে অবশ্য সে অর্থে আঁচ পড়েনি।
শিক্ষকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, জাতীয় বেতন স্কেলে তাঁদের শুরুর বেতন একাদশ গ্রেডে নির্ধারণ করতে হবে, ১০ এবং ১৬ বছর চাকরির পরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সমস্যার সমাধান করা এবং দ্রুত পদোন্নতি নিশ্চিত করা। যার মধ্যে রয়েছে সকল প্রধান শিক্ষক পদ পূরণের জন্য সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেওয়া।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর তরফে। বাংলাদেশের চিফ অফ আর্মি স্টাফ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের অফিসারদের উদ্দেশে ভাষণ এমন একটা সময় সামনে এসেছে যখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং ইউনূস সরকারের মধ্যে নির্বাচন করা, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং মায়ানমারের রাখাইনে একটি মানবিক করিডর তৈরি নিয়ে চাপনউতোর তীব্রতর হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই করিডর বাংলাদেশের সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলির মধ্যে একটি হিসেবে উঠে এসেছে। জামান জোর দিয়ে বলেছেন যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এমন কিছু হতে দেবে না যা দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলবে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন ইউনূস। এমনই খবর।























