Bangladesh News: চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারিতে সরব হয়েছিলেন, বাংলাদেশে আক্রান্ত কুশল বরণ চক্রবর্তী, 'চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে তাঁকে ঘিরে রেখেছে মৌলবাদীরা..' !
Kushal Baran Chakraborty Attacked In Bangladesh: ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত হল হিন্দু, চট্টগ্রামে আক্রান্ত কুশল বরণ চক্রবর্তী

নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে কিছুতেই হিন্দুদের উপর হামলা থামছে না। কখনও ওপারে রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ। তো কখনও আবার হিন্দু নাপিতকে মিথ্যে অভিযোগে নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার ফের বাংলাদেশে আক্রান্ত হল হিন্দু। চট্টগ্রামে আক্রান্ত হয়েছেন কুশল বরণ চক্রবর্তী বলে খবর।
মূলত এখনও বাংলাদেশের জেলে বন্দি রয়েছেন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। সম্প্রতি চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশের সনাতনী ঐক্যমঞ্চের সদস্য কুশল বরণ চক্রবর্তী। আর এবার তার উপরেও চলল হামলা। সূত্রের খবর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কুশল বরণ চক্রবর্তীকে ঘিরে রেখেছে মৌলবাদীরা !

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতেই বাংলাদেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। মন্দিরে ভাঙচুর, হিন্দুদের ঘর-বাড়িতে আগুন, ক্রমাগত হিন্দু নিধন। অধ্য়াপক থেকে সাধারণ মানুষের উপর অত্য়াচার, নির্যাতন, নিপীড়নের একের পর এক ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। সম্প্রতি, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত কাছারিবাড়িতে তাণ্ডব চলে।
গোটা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, প্রতিবেশী দেশের সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কঠোর ভাবে কথা বলার জন্য আমি আপনাকে আর্জি জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কাজ না হয়, সে জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
তারপরও থামেনি আক্রমণ,ঢাকার খিলখেতে দুর্গা মন্দিরে ভাঙচুর চালায় একদল দুষ্কৃতী। বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেই মন্দির ভেঙে ফেলার সময়সীমা বেঁধে দেয়।পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়, রেলের জমিতে মন্দির থাকায় রেলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এরপর, রেল কর্তৃপক্ষ বুলডোজ়ার দিয়ে মন্দিরটি ভেঙে দেয়। যে ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, 'ঢাকার খিলখেতে দুর্গামন্দির ভাঙার জন্য কট্টরপন্থীরা চাপ দিচ্ছিল। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার বদলে, দেখানোর চেষ্টা করে যে মন্দিরটি জবরদখল করা জমির উপরে তৈরি এবং মন্দিরটি সরানোর আগেই তারা সেটি ভেঙে ফেলার অনুমতি দেয়, যার ফলে দেবী মূর্তির ক্ষতি হয়। আমরা অবাক হচ্ছি যে, বাংলাদেশে এইরকম ঘটনা বার বার ঘটছে।'






















