Bangladesh News: ফের উত্তাল বাংলাদেশ, দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, জারি কার্ফু
Bangladesh News Update: একসময় আওয়ামী লিগের গড় বলে পরিচিত ছিল এই গোপালগঞ্জ। সেখানে এনসিপি- র অনুষ্ঠান চলাকালীন কারা এই হামলা চালালো, উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করল?

আবির দত্ত : ফের উত্তাল বাংলাদেশ। রণক্ষেত্র বঙ্গবন্ধুর গোপালগঞ্জ। গতকাল দিনভর দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ বাধে, সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধে ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কার্ফু জারি। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান, শেখ হাসিনার জেলা গোপালগঞ্জ আওয়ামি লীগের গড় বলে পরিচিত। গতকাল গোপালগঞ্জে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জের‘ ডাক দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি NCP। সেখানে মঞ্চ ভাঙচুর ও হামলা চালান আওয়ামি লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা, খবর প্রথম আলো সূত্রে। এমনকি হামলার মুখেও পড়েন NCP নেতারা, শেষপর্যন্ত সেনা পাহারায় তাঁদের সমাবেশস্থল ছাড়তে হয়। DC-র বাসভবন, জেল চত্বরের আশেপাশে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে। ঢাকার বাইরে অন্তত ২০টি জায়গায় সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে বাংলাদেশ পুলিশ।
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি- র আন্দোলনের এক বছর পূর্তি হচ্ছে। গতকাল গোপালগঞ্জে দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা গিয়েছে। ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে সূত্র মারফত। ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর, হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। উত্তেজনার পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীও গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠনের তরফে এই হামলা চালানো হয়েছে। দফায় দফায় উত্তেজনার জন্য কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে।
একসময় আওয়ামী লিগের গড় বলে পরিচিত ছিল এই গোপালগঞ্জ। সেখানে এনসিপি- র অনুষ্ঠান চলাকালীন কারা এই হামলা চালালো, উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করল? অভিযোগের তির আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠনের দিকে। এই উত্তেজনার পরিস্থিতির আসল কারণ কী তা আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হবে। গোপালগঞ্জের অশান্ত পরিস্থিতিতে সেনা এবং পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যেসব আহত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাঁদের মধ্যে অনেকে আশঙ্কাজনক বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর জুলাই মাস থেকেই পরিস্থিতি অশান্ত হতে শুরু করেছিল বাংলাদেশে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের আঁচে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়, যে বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই বারংবার উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা।























