Sheikh Hasina: 'হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া অবন্ধুসুলভ আচরণ, ফেরত পাঠিয়ে দিন', মুজিব-কন্যার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই ভারতকে আর্জি বাংলাদেশের
Bangladesh News: মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যর্পণের আর্জি বাংলাদেশের। ভারতের কাছে ২ জনকে হস্তান্তরের আর্জি জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।'

নয়া দিল্লি: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমলেরও মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে এই রায় ঘোষণা হতেই আদালতে হাততালি আর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন আওয়ামি লিগ বিরোধীরা।
আর এই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পরই শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের প্রত্যর্পণের আর্জি বাংলাদেশের। ভারতের কাছে ২ জনকে হস্তান্তরের আর্জি জানাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, 'হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে আশ্রয় দেওয়া অবন্ধুসুলভ আচরণ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফিরিয়ে না দিলে ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল। ২ দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে হস্তান্তর করা উচিত'।
আদালতের এই রায় ঘোষণা হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনা ট্রাইবুনালের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করছি। গত বছরের জুলাই-আগস্টে যত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে জন্য আমি শোকাহত। কিন্তু আমি কিংবা কোনও রাজনৈতিক নেতা কখনওই কোনও আন্দোলনকারীকে হত্যা করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি। এমনকী, নিজের পছন্দমতো আইনজীবীও বাছার সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাকে। এই ট্রাইবুনাল পক্ষপাতদুষ্ট। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া না মেনে রিগিং করে বাংলাদেশের ট্রাইবুনালের এই রায়। পক্ষপাতমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশে ঘোষণা করা হয়েছে। মৌলবাদীদের ইচ্ছেতেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।'
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মত, কী কী পদক্ষেপ করতে পারেন হাসিনা?
রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সমর্থন সংগ্রহ- হাসিনা দাবি করেছেন যে মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা, মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং মিত্র দেশগুলির কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন।
নির্বাসিত থেকে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা- ভারতে বসবাসের কারণে, তিনি সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতারের ঝুঁকি নেই। নির্বাসিত থাকা অবস্থায়ও তিনি তার দল এবং সমর্থকদের সংগঠিত করতে পারেন।























